Kolkata Municipal Corporation : গ্যারাজ সারাতে গিয়ে বিপত্তি! জলঘোলা পুর অনুমতি নিয়ে – ballygunge resident parmita karati garage was started to be raised to avoid water ingress but the work was stopped by the kolkata municipality


এই সময়: বর্ষার সময়ে জমা জল ঢুকে যায় বাড়িতে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় গ্যারাজে। গাড়ির ক্ষতি এড়াতে গ্যারাজ উঁচু করার কাজ শুরু করেছিলেন বালিগঞ্জের লেক টেরেসের বাসিন্দা পারমিতা করাতী। কিন্তু, কাজ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যে মঙ্গলবার হঠাৎই পুলিশ পাঠিয়ে সেই কাজ বন্ধ করে দেয় কলকাতা পুরসভা। বাড়ির মধ্যে সামান্য এই কাজের জন্য যেভাবে তাঁকে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ পারমিতা। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক কর্তার বক্তব্য, ‘যে কোনও ধরনের নির্মাণের জন্যই আগাম অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি বলেই এই পদক্ষেপ।’

Siddique Kappan : ‘শৌচালয় বলতে তো স্রেফ একটা বালতি…’, কলকাতায় এসে বন্দি-জীবনের কাহিনি শোনালেন কাপ্পান
যদিও পারমিতার বক্তব্য, সমস্যায় পড়েই এই কাজটা তাঁদের করতে হচ্ছিল। তাঁর কথায়, ‘আইন থাকতেই পারে। সেটা আমি জানতাম না। পুরসভা আধিকারিকরা সেটা জানিয়ে লিখিত আবেদন করতে বলতেই পারতেন। এভাবে পুলিশ পাঠিয়ে কাউকে অপদস্থ করার কোনও মানে হয় না।’ যাঁরা কাজ বন্ধ করার কথা বলতে এসেছিলেন, তাঁরাও এই বিষয়টা স্পষ্ট করে জানাননি বলে অভিযোগ পারমিতার।

Kolkata Municipal Corporation : শহরে বাড়ছে পথকুকুরের দৌরাত্ম্য, জেরবার পুরসভা
কিন্তু, কেন এক্ষেত্রে এত তৎপর হলো পুরসভা? স্থানীয় সূত্রে খবর, পারমিতার পড়শিদের কয়েকজন পুরসভায় অভিযোগ করেছিলেন, ওই বাড়িতে গ্যারাজ মেরামতির বদলে দোকান ঘর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ওই অভিযোগ পেয়েই বিষয়টি খোঁজ নিতে যান বিল্ডিং বিভাগের অফিসাররা। পুর আধিকারিকদের যুক্তি, অনুমোদন ছাড়াই কাজ শুরু হয়েছে। যদিও পারমিতা বলছেন, ‘ব্যবসা যদি করতেই হয়, তাহলে আমরা অনুমোদন নিয়েই করব। বাড়িতে মা আর আমি থাকি। মায়ের বয়স ৭৫ বছর। আমরা গ্যারাজটি উঁচু করার কাজ করছিলাম। সেকারণেই স্থানীয় কয়েকজন আমাদের হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন।’

College Street : বইপাড়ায় হাঁটার পথ কবেই উধাও
ওই এলাকার কাউন্সিলার চৈতালি চট্টোপাধ্যায়কেও পুরো ঘটনার কথা জানিয়েছেন পারমিতা। চৈতালীর বক্তব্য, ‘ওঁরা নিয়মের কথা না জেনেই কাজ শুরু করেছেন। পুরসভাও যেটা করেছে সেটা আইন মেনেই করেছে।’ কিন্তু তাঁদের পুরসভার অনুমতি নেওয়ার কথা বললেই তো হতো, সেটা কেন করা হলো না? চৈতালির জবাব, ‘ওঁদের বলেছি, অনুমতি নেওয়ার পরে ফের কাজ শুরু করতে পারেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *