যদিও পারমিতার বক্তব্য, সমস্যায় পড়েই এই কাজটা তাঁদের করতে হচ্ছিল। তাঁর কথায়, ‘আইন থাকতেই পারে। সেটা আমি জানতাম না। পুরসভা আধিকারিকরা সেটা জানিয়ে লিখিত আবেদন করতে বলতেই পারতেন। এভাবে পুলিশ পাঠিয়ে কাউকে অপদস্থ করার কোনও মানে হয় না।’ যাঁরা কাজ বন্ধ করার কথা বলতে এসেছিলেন, তাঁরাও এই বিষয়টা স্পষ্ট করে জানাননি বলে অভিযোগ পারমিতার।
কিন্তু, কেন এক্ষেত্রে এত তৎপর হলো পুরসভা? স্থানীয় সূত্রে খবর, পারমিতার পড়শিদের কয়েকজন পুরসভায় অভিযোগ করেছিলেন, ওই বাড়িতে গ্যারাজ মেরামতির বদলে দোকান ঘর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ওই অভিযোগ পেয়েই বিষয়টি খোঁজ নিতে যান বিল্ডিং বিভাগের অফিসাররা। পুর আধিকারিকদের যুক্তি, অনুমোদন ছাড়াই কাজ শুরু হয়েছে। যদিও পারমিতা বলছেন, ‘ব্যবসা যদি করতেই হয়, তাহলে আমরা অনুমোদন নিয়েই করব। বাড়িতে মা আর আমি থাকি। মায়ের বয়স ৭৫ বছর। আমরা গ্যারাজটি উঁচু করার কাজ করছিলাম। সেকারণেই স্থানীয় কয়েকজন আমাদের হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন।’
ওই এলাকার কাউন্সিলার চৈতালি চট্টোপাধ্যায়কেও পুরো ঘটনার কথা জানিয়েছেন পারমিতা। চৈতালীর বক্তব্য, ‘ওঁরা নিয়মের কথা না জেনেই কাজ শুরু করেছেন। পুরসভাও যেটা করেছে সেটা আইন মেনেই করেছে।’ কিন্তু তাঁদের পুরসভার অনুমতি নেওয়ার কথা বললেই তো হতো, সেটা কেন করা হলো না? চৈতালির জবাব, ‘ওঁদের বলেছি, অনুমতি নেওয়ার পরে ফের কাজ শুরু করতে পারেন।’