Rajarhat Narayanpur Shootout : গুলিতে ঝাঁঝরা প্যারলে মুক্তি পাওয়া দুষ্কৃতী, রাজারহাটের নারায়ণপুরে ব্যাপক আতঙ্ক – rajarhat narayanpur shootout one person killed by bullet injury


ভরসন্ধ্যায় চলল গুলি। একের পর এক গুলিতে ঝাঁঝরা ব্যক্তি। রাজারহাটের নারায়ণপুরে ফায়ার স্টেশনের সামনে ঘটেছে ঘটনাটি। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভিআইপি রোডের ধার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি ওই ব্যক্তিকে। নিহতের নাম দেবজ্যোতি ঘোষ। সূত্রের খবর একাধিক গুলি লাগায় বাঁচানো যায়নি তাঁকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা, কী কারণে তাঁর ওপর হামলা চালাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে দেবজ্যোতি ঘোষ নামে ওই ব্যক্তিরও পুরনো অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাও হয় তাঁর। কিছুদিন আগে প্যারলে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এদিন নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলে। সেখান থেকে ফেরার পথে নারায়ণপুর স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে তাঁর ওপর হামলা চালান হয়। বেশ কয়েকটি গুলি চালান হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি ভিআইপি রোডের ধার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

Lake Town Murder: লেকটাউনে দমকলকর্মী খুনে ত্রিকোণ প্রেম তত্ত্ব, গ্রেফতার আরও ২
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দেবজ্যোতি ঘোষ তাঁর গাড়ির মধ্যেই ছিলেন। সেই সময় আচমকাই তাঁর ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পরপর গুলি চালাতে শুরু করে তারা। এরপর চেখের নিমেষে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। তবে ঠিক কী কারণে তাঁর উপর এই হামলা, কিংবা এই হামলার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছু জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে নারায়ণপুর থানার পুলিশ।

Lake Town Shootout : খাস কলকাতায় শ্যুটআউট! লেকটাউনে দমকলকর্মীকে গুলি করে খুন
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে লেকটাউনে এক দমকলকর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। সরাসরি ফিল্মি কায়দায় বুকে গুলি করে খুন করা হয় স্নেহাশিস রায় নামে ওই দমকল কর্মীকে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে সগর হালদারকেই ঘটনার মূল মাস্টার মাইন্ড বলে মনে করছে পুলিশ। সাগরই সুপারি কিলারদের এক লাখ টাকা দেয় বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার নেপথ্যে ইতিমধ্যেই উঠে এসেচে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব। পুলিশ সূত্রে খবর, সাগর হালদার এর আগে তিনটি খুনে অভিযুক্ত। কখনও সোদপুর কখনও ঘোলা, কখনও আবার লেকটাউন এলাকায় থাকত সে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের প্রকাশ্যে ঘটে গেল খুন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *