১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের ‘কালো দিন’-টি কাছ থেকে প্রতক্ষ্য করেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোনালি গুহ। কালের ফেরে এখন বিজপিতে থাকলেও সোনালি তখন ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী। দল এখন ভিন্ন, প্রিয় ‘দিদি’-র প্রতি জমে একরাশ রাগ। আগামিকাল ভরা সভামঞ্চ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ মিস করবেন সোনালি? এই সময় ডিজিটালের প্রশ্নে মুখ খুললেন সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক।
সোনালি বলেন, ‘গত বছরও আমি ২১ জুলাই যাইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করছেন, সিপিএমের সঙ্গে মিটিং করছেন। বাম আমলে তিনিই বলেছিলেন কংগ্রেস সিপিএমের ‘বি টিম’ সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করছেন! উনি সিপিএমের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। তাহলে কী উনি বি স্কোয়ার টিম হয়ে গেলেন?’
প্রাক্তন বিধায়ক ও অধুনা বিজেপি নেত্রীর আরও বলেন, ‘মন খারাপ অবশ্যই আছে। ১৩ ছেলে মারা গিয়েছিল মন খারাপ থাকবে না। কিন্তু যে শহিদ দিবসে পাগলু গান হয়, দেব নিজে গান করেন সেটা নিয়ে আর কী বলব। আপনার বলছেন এখন এই কথা বলছি, তখন কেন বলিনি! তখন ইচ্ছে থাকলেও বলতে পারিনি। এখন আমি অন্য দলে আছি, তাই বলতে পারছি।’
সোনালির কথায়, ‘নো আইডি কার্ড নো ভোটের দাবি নিয়ে সেদিন মিছিল হয়েছিল। আমরা সকলেই সেই মিছিলে ছিলাম। ব্রেবোর্ন রোডে টিয়ার গ্যাস চলছিল। ওই গ্যাসে দিদির চোখ জ্বালা করছি। আপনি দেখবেন কালকেই একটা ছবি বেরবে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একজন মহিলার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকতে দেখা যাবে। ওই মহিলার নাম অশোকা মণ্ডল। প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁকে পরবর্তীকালে তৃণমূল টিকিট দেয়নি। আমরা ছাড়াও সেদিন সব থেকে বেশি মার খেয়েছিলেন সৌগত রায় ও প্রয়াত জটু লাহিড়ি। সেদিন পুলিশের ১৩ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন, এটাই দুঃখের। তারপর থেকে শহিদ দিবস হয়েই আসছে। মাঝে করোনার কারণে দু’বার হয়নি। শহিদ দিবস নিয়ে এর বেশি আর কিছু বলতে চাই না।’