কেমন হচ্ছে মঞ্চ?
মূল মঞ্চকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগের উচ্চতা ১০ ফুট, দৈর্ঘ্য ৫২ ফুট ও প্রস্থ ২৮ ফুট। এই প্রথম ভাগে থাকবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা। দ্বিতীয় ভাগের দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট, প্রস্থ ২৮ ফুট ও উচ্চতা ১১ ফুট। এই স্তরে বসবেন দলের সাংসদ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। আর তৃতীয় ভাগের উচ্চতা ১২ ফুট, দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট ও প্রস্থ ২৮ ফুট। এখানে বসবেন বিধায়ক ও অন্যান্যরা। মূল মঞ্চের পাশে আরও একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যার
উচ্চতা ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট ও প্রস্থ ২৮ ফুট। এখানে বসবেন কাউন্সিলর ও আরও বেশকিছু জন। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকছে। মঞ্চে ওঠার মোট তিনটি সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জন্য, এবং বাকি দু’টি অন্যান্যদের জন্য। এছাড়া পোডিয়ামের উচ্চতা করা হয়েছে ১২ ফুট, দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট ও প্রস্থ ৮ ফুট। নেতৃত্বের ভাষণ যাতে সভায় উপস্থিত প্রতিটি মানুষ ঠিকমতো শুনতে পান, তার জন্য থাকছে ১,০০০টি মাইকের ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে সচিত্র ভোটার কার্ডের দাবিতে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিল যুব কংগ্রেস। সেই সময় রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট পাঁচটি এলাকা দিয়ে মিছিল করে মহাকরণের দিকে এগোতে থাকেন যুব কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা। মিছিলে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের আটকাতে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করে পুলিশ। বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় যুব কংগ্রেস নেতা কর্মীদের। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরস্থিতি। অভিযোগ, তারই মাঝে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে মৃত্যু হয় ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর। রক্তে ভেসে যায় কলকাতার রাজপথ। তারপর থেকেই প্রতিবছর এই দিনটিতে শহিদ দিবস পালন করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তৃণমূল গড়ে তোলার পরেও সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি।