জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদের (Ahmedabad) নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে (Narendra Modi Stadium) ভারত-পাকিস্তান (IND vs PAK, CWC 23) মহারণ। তবে আইসিসি (ICC) বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করার পর থেকেই উত্তেজনা তুঙ্গে। অ্যাশেজকেও বলে বলে টেক্কা দিতে পারে বলে, ভারত-পাক মহারণের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাদার অফ অল ব্যাটল’। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ টিভি বা মোবাইলের স্ক্রিনে দেখতে ইচ্ছুক নন ভারতীয় দলের ফ্যানরা, একেবারে গ্যালারিতে বসেই রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও বাবর আজমদের (Babar Azam) পাওয়ারপ্যাকড অ্যাকশন চাক্ষুস করতে চান তাঁরা। সবরমতী নদীর ধারে গড়ে ওঠা শহরে একাধিক হোটেল রয়েছে। তবে সেখানে হোটেল বুকিং পাওয়া হয়ে গিয়েছে কার্যত ‘মিশন ইমপসিবল’ তিন মাস আগে থেকেই হোটেল বুকিংয়ের হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে। আহমেদাবাদের কিছু কিছু হোটেল ভাড়া ৪০ থেকে ৮০ হাজার পর্যন্ত চলে গিয়েছে বিশ্বকাপের জন্য। তবে ফ্যানদের তো আর দমানো যাবে না, হোটেল ভাড়া আকাশছোঁয়া তো কী হয়েছে! হাসপাতালের বেড তো পাওয়া যাবে। শিরোনাম পড়ে যে ভিরমি খেয়েছিলেন, সেই ভিরমি আবারও খেলেন, তাই তো! হওয়ারই ছিল। ফ্যানরা এমনই কাজ করে বসলেন।
আরও পড়ুন: EXPLAINED | Ayesha Naseem: ইসলামের জন্য ক্রিকেটকে না! ১৮-তেই অবসর পাক ক্রিকেটারের, কিন্তু কেন?
ভোপালের সান্নিধ্য মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের ডিরেক্ট পরস শাহ এই বিষয়ে আলোকপাত করলেন। তিনি বলছেন, ‘যেহেতু এটা হাসপাতাল, সেহেতু পুরো বডি চেক-আপের জন্য ফ্য়ানরা পুরো রাত হাসপাতালেই থাকতে চাইছেন। এতে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাচ্ছে। এক তো হোটেলের ভাড়া বাঁচছে, দুই পুরো বডি চেক-আপও হয়ে যাচ্ছে।’ এই হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডক্টর নিখিল বলছেন, ‘আমাদের কাছে লোকজন খোঁজ নিচ্ছে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা হাসপাতালের বেড বুক করলে কত টাকা লাগবে! ওই বিশেষত ১৫ অক্টোবরের দিকটাতেই। আমরা পুরো বডি চেক-আপের প্যাকেজও চালু করছি। আর সবই হচ্ছে আসন্ন বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্য়াচকে ঘিরে। এটা শুধু আমাদের হাসপাতালের ব্যাপার নয়, শহরে যত হাসপাতাল আছে, সর্বত্রই একই চিত্র। আমরা তো অনান্য হেলথ প্যাকেজের কথাও ভাবতে শুরু করেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাঁচতারা হোটেলের কর্তা বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের ১৩-১৬ অক্টোবরের জন্যে বুকিং নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতমধ্যেই শহরের সব হোটেলের ঘর শেষের দিকে। ম্যাচের দিনগুলিতে আর হোটেল ঠাসা থাকবে।’ এই হোটেলগুলিতে ভিভিআইপিরাও থাকবেন। তাই বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।অক্টোবর মাস জুড়ে আহমেদাবাদের হোটেল ভাড়া ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। হোটেল মালিকরা মুনাফা করতে চাইছেন সেই মোক্ষম সময়ের জন্য। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে আশ্রম রোডের তিন থেকে পাঁচ তারা হোটেলের দাম করা হয়েছে একদিনে ৮০ হাজার টাকা! শুধু তাই নয়, স্টেডিয়াম থেকে দশ কিমি দূরে প্রাইড প্লাজা হোটেলের ভাড়াও ৫২ হাজার প্রতি রাতে। অনলাইনের মাধ্যমে হোটেল বুকিং করতে গিয়ে মাথায় হাত ক্রিকেটপ্রেমীদের। সবাই প্রায় হোটেল বুকিং করতে চাইছেন তিনদিনের জন্য ১৪-১৬ অক্টোবর। তাতেই একজন ব্যক্তির জন্য দুই লাখের বেশি ভাড়া লেগে যাচ্ছে। বিলাসবহুল হোটেলে যে ঘরগুলি সাধারণ সময়ে ৬,৫০০ থেকে ১০,৫০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে, সেগুলিরই দাম আকাশ ছুঁয়েছে।