এদিন ২১শের মঞ্চ থেকেই সরাসরি হাওড়ার মঙ্গলা হাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা ভাঙার পরেই আসতে আসতে মঞ্চের সামনে থেকে ভিড় কমতে শুরু করে। যদিও আগত আমন্ত্রিত সদস্যরা ধীরে ধীরে মিটিং সেরে প্রস্থান করতে শুরু করেন।
মঞ্চের সামনের অংশ ফাঁকা হতেই লক্ষ্য করা যায়, শত সহস্র প্লাস্টিক, বোতল, খাবারের পাত্র, প্যাকেটের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তায়। মিটিং শেষ হওয়ার পর থেকেই এদিন কলকাতা পুরসভার সাফাই কর্মীরা কাজ শুরু করে দেন। মঞ্চের সামনের অংশ থেকে শুরু করে লেনিন সরণি থেকে এস এন ব্যানার্জি মোড় পর্যন্ত ধর্মতলা চত্বর জুড়ে সাফাইয়ের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়।
এত বড় রাজনৈতিক সমাবেশের কয়েক ঘণ্টার পেছনে অনেক মানুষের কিছুটা অর্থ সংস্থানের সুযোগ থাকে। বিভিন্ন খাবার দ্রব্য, রকমারি জিনিস বিক্রি-বাট্টার আসর বসে। স্বাভাবিক ভাবেই, এই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাস্তা জুড়েও অনেকটাই জঞ্জাল জমে ওঠে আনাচে কানাচে। এদিন সভার পর থেকেই সাফাই কর্মীরা ঝাঁটা হাতে রাস্তা সাফাইয়ের কাজ শুরু করে দেন।
অন্যান্য বছরের ন্যায় ৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যুর স্মরণে শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। মাঝে করোনা কালে ভার্চুয়ালি এই সভার আয়োজন করা হলেও শেষ দুই বছর কলকাতার বুকে শহিদ দিবসের আয়োজন করা হয়। কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, এবারেও শহরে জনসমাগমের সংখ্যা বেশ কয়েক লাখ পেরিয়ে গিয়েছে।