ঠিক কী বলেছেন নওশাদ?
একুশে জুলাইয়ের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় এসেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। শহরের বিভিন্ন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল তাঁদের। ছিল খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রেও কিছু তৃণমূলের কর্মীরা ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বেরিয়ে আসার সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূলের কিছু কর্মী। নওশাদকে দেখে এগিয়ে আসেন তাঁদের কয়েকজন। এক তৃণমূল কর্মী তাঁকে দেখে মন্তব্য করেন, “আপনাকে সংবাদ মাধ্যমে বহুবার দেখেছি। আজ প্রথম সামনে থেকে দেখলাম।”
সৌজন্য দেখানোর ক্ষেত্রে কার্পণ্য করেননি নওশাদও। তিনি এগিয়ে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কুশল সংবাদ বিনিময় করেন। বহু তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে হাতও মেলান। কিন্তু, সঙ্গেই একটি সাবধানবাণী সংযোজন করে দেন। নওশাদ বলেন, “আপনাদের মতো আমিও গ্রামের মানুষ। কলকাতায় এসেছেন। মানিব্যাগ, মোবাইল সাবধানে রাখবেন।”
একুশের জুলাইয়ের সভায় যোগদান করতে আসা তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে ISF কর্মীর এই বার্তা নিছক উপদেশ, পরামর্শ নাকি টিপ্পনি, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপা কানাঘুষো চলছেই। প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইকে কেন্দ্র করে কলকাতাজুড়ে কড়া সতর্কতা। শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চের আশেপাশে থাকবেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
ইতিমধ্যেই জেলাগুলি থেকে ঢুকতে শুরু করেছে একাধিক বাস। গন্তব্য ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ। অনেকে আবার সভা শুরুর আগে ঘুরে দেখছেন ভিক্টোরিয়া, সেই দৃশ্যও দেখা গিয়েছে। একুশে জুলাইয়ের দিন বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে ২৬টি রাজনৈতিক দল BJP-র বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে। বিরোধীদের বেঙ্গালুরু বৈঠকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে একুশের মঞ্চ থেকে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ধর্মতলা চত্বরে ইতিমধ্যেই জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন বহু মানুষ।