৫ অগাস্ট ঘেরাওয়ের ডাক
শহিদ মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় ঘোষণা। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নেত্রীর অনুমতি নিয়ে আামি ঘোষণা করছি, আগামী ৫ অগাস্ট ৮ ঘণ্টার জন্য জেলা থেকে ব্লক স্তরে, বুথ স্তরে যত বিজেপি নেতা আছে সকলের নাম আনুন। সবার নামের তালিকা তৈরি করুন। সবার বাড়ি ঘেরাও করা হবে। আগামী ৫ অগাস্ট শনিবার সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত তৃণমূল নেত্রীর অনুমতি দিয়ে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করব।’
সেই সঙ্গে তিনি এও নিশ্চিত করেন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে এই প্রতিবাদ। তিনি বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে বিজেপি নেতারা বাড়িতে ঢুকবেও না, বেরোবেও না। কোথাও কারও গায়ে হাত দেওয়া যাওয়া নয়। কোনও প্ররোচনায় পা নয়।’ ৩৪১ টা ব্লকের সঙ্গে ১২৭টা করপোরেশনের ওয়ার্ড, টাউনের সমস্ত বিজেপি নেতাদের বাড়ি গণঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের । এখানেই শেষ নয়, মোদী শাহের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘এরা যার পা ধরে রাজনীতি করে, দিল্লিতে তার দফতরও ঘেরাও হবে।’
২ অক্টোবর দিল্লি চলো
নবজোয়ার যাত্রায় বার বার যেকথা বলে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ‘এদিন ছিল সেই কর্মসূচির ক্লাইম্যাক্স। তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সাংসদ বলেন, বাংলার বকেয়া ১০০ দিনের টাকা ছিনিয়ে আনতে আমরা দিল্লি যাব। মহাত্মা গান্ধীর নামে ১০০ দিনের প্রকল্পের নাম। সেই গান্ধীজির জন্মজয়ন্তীতেই আমরা দিল্লি অভিযান করব। কেন্দ্র সরকারের থেকে টাকা ছিনিয়ে আনতে আমি দিল্লি যাব। আপনাদেরও নিয়ে যাব।’
এদিন বক্তব্য রাখতে উঠে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’আজ আমার ২০১০ সালের একুশে জুলাইয়ের কথা মনে পড়ছে। ওই বছরও একুশে জুলাইয়ে জনতার এমন স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস দেখেছিলাম। তাঁর পরের বছরই এল বাংলায় সেই বহু প্রতীক্ষিত পরিবর্তন।’ শহিদের মঞ্চে আগামীর বার্তা অভিষেকের।