মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে অরবিন্দের (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) কথা হয়েছে। আমরা INDIA থেকে একটি দল মণিপুরে যাই। মুখ্যমন্ত্রীরদের দল। সেখানে গিয়ে ক্যাম্পে তাঁদের সঙ্গে দেখা করি, কথা বলি। তাঁরাও চাইছেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে।’
প্রসঙ্গত, মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো ও গণধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল গোটা দেশ। সারা দেশজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। সে রাজ্যের সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে। মণিপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যে দুই মহিলাকে নিগ্রহ করা হয়েছে, তাঁরা কুকি-জো জনজাতির। নিগৃহীত ওই দুই মহিলার মধ্য়ে একজনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এফআইআর-এ।
তবে যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হয়েছে সেটি ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লিতে একটি ধর্ষণের ভুয়ো খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওকেই মণিপুরে ধর্ষণ বলে দাবি করা হয়। ইতিমধ্যেই চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারি ঘিরেও ছড়িয়েছে উত্তেজনা। বৃহস্পতিবারই এক অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করার লোক। আজকে কেউ কেউ নেতিবাচক মনে বলেন, বলতেই পারেন, এটা তাঁদের অধিকার। বলে খুন খারাপির রাজনীতি চলছে। কয়েকদিন আগে ত্রিপুরায় রথযাত্রা দড়ি টানতে গিয়ে কতগুলো লোক মারা গেল। আমার কিন্তু সমালোচনা করিনি। ট্রেন দুর্ঘটনায় এক লোক মারা গেল। আমার সবাইকে চাকরি দিয়েছি। কিন্তু মোদীজির সরকারের বিরুদ্ধে বলিনি। আর আপনারা পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হিংসা হিংসা করছেন।আপনারা বাংলার অসম্মান করছেন , অপমান করছেন।’