জানা গিয়েছে, ২১শে জুলাই ধর্মতলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বারাসত ১১ নম্বর রেলগেটের কাছে বাথরুম করতে নামে ওই যুবক। সেই সময় আপ বনগাঁ লোকাল আসছিল। কিন্তু টের পাননি কুতুবউদ্দিন। ট্রেনটি সজোরে ধাক্কা মারে ওই যুবককে। তড়িঘড়ি তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত যুবকের নাম কুতুবউদ্দিন মণ্ডল। বাড়ি হরিণঘাটার ফতেপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনপাড়ায় বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক সাফল্যের কথা জানার পরে মালয়েশিয়া থেকে হরিণঘাটার বাড়িতে ফেরেন তিনি। ২১শে জুলাই যোগদানের উদ্দেশ্যে আসেন বাড়িতে, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে থাকা তৃণমূল কর্মীরা।
নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা কুতুবউদ্দিন মণ্ডলের বয়স ৩২। আজ ধর্মতলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিকেলে বাথরুম করবে বলে গাড়ি থেকে নামেন বারাসতের ১১ নম্বর রেলগেটে। সেখানে দূর থেকে দেখতে না পাওয়া লোকাল ট্রেনটি তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
২১শে জুলাইয়ের সমাবেশ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হল নদিয়ার এই তৃণমূল সমর্থকের। বারাসত থানা ও জিআরপি কুতুবুদ্দিন মণ্ডলকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসলে তাঁকে বাঁচানো যায়নি। তারপরেই শোকে ভেঙে পড়েন কুতুবউদ্দিনের সঙ্গে আসা তৃণমূল সমর্থকরা।
মৃতের সঙ্গে থাকা এক তৃণমূল সমর্থক বলেন, ‘অনেক বছর আগে থেকেই কুতুবউদ্দিন দিদির বড় ভক্ত। সেই কারণে তৃণমূলকে সে এত ভালবাসত। আর তাই ছুটি নিয়ে মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি এসেছিল যাতে ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে পারে। কিন্তু এরকম ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে যাবে, আমরা কেউই ভাবতে পারিনি।’
ওই তৃণমূল সমর্থক আরও বলেন, ‘সমাবেশে আমরা একসঙ্গে গিয়েছিলাম। খাওয়া দাওয়াও করেছি। পথে ফেরার সময় কুতুবউদ্দিন বলে প্রস্রাব করতে নামবে। কিন্তু ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় গাড়ির চালক ওই রেল গেটের সামনে গাড়িটি দাঁড় করান। সেও নেমে প্রস্রাব করতে যায়। কিন্তু ট্রেন যে আসছে সেটা কুতুবউদ্দিন নিজে বা আমরা কেউই খেয়াল করিনি। এই একটি ছোট কারণের জন্য আমরা কুতুবউদ্দিনকে হারিয়ে ফেললাম।’