জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ফের দাপিয়ে ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে ফলপ্রকাশ পর্যন্ত একের পর এক মৃত্য়ুর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। তা নিয়ে সোচ্চার বিজেপি। এরকম এক আবহে পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলনেত্রী কী বার্তা দেন তার দিকেই তাকিয়ে কর্মী-সমর্থকরা। এদিন মঞ্চে উঠেই মমতা বলেন, যতদূর চোখ যাচ্ছে খালি মাথা আর মাথা। মানুষ যেভাবে আমাদের সমর্থন করেছে সকলের কাছে আমরা নতমস্তকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন, Martyr’s Day Rally: ফিরে দেখা ২১ জুলাই! তাজা রক্তে সেদিন ভিজেছিল শহরের রাজপথ…
অভিষেকের বক্তব্য, জেলায়, বিধানসভায়, ব্লকে, পঞ্চায়েতে যেভাবে মানুষ সমর্থন করেছে মানুষের পঞ্চায়েত পাশে থেকেছে তা প্রণম্য। সাধারণ মানুষের কথায় এবার মানুষ প্রার্থীপদ দিয়েছে। জিতিয়েছে মানুষ। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি পেয়েছিল ৩৮ শতাংশ। বিধানসভায় ১০ শতাংশের ব্যবধান ছিল। পঞ্চায়েতে ১৫ শতাংশের বেশি হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম ব্যবধান ৩০ শতাংশের বেশি হয়েছে। পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে আর ভারতীয় জুমলা পার্টি ইডি, সিবিআই, সংবাদমাধ্যম সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ২২ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কারণ বিরোধীদের কাছে মানুষের সমর্থন নেই।
অভিষেক আরও বলেন, আমরা ১০০ দিনের টাকা দিল্লির বুক থেকে টেনে আনবো। বাংলার প্রতি যে ধারাবাহিক নিপিড়ন, শোষণ, বঞ্চনা, অপমান- সেই বকেয়া বুঝে নিতে দিল্লি যাবেন তো! ২০১০ -এর ২১ শে জুলাই আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে আজকের সমাবেশ। ক্ষমতা আছে ভারতবর্ষের সঙ্গে লড়বে? জনতা যা বলবে সেটাই শেষ কথা। ২ লক্ষ ৬৪ হাজার জব কার্ড হোল্ডার যাদের জীবিকা নির্ভর করে ১০০ দিনের কাজের উপর। আগামীদিনে কৃষিভবনের বাইরে হবে ঘেরাও হবে। মমতার নির্দেশে ২ রা অক্টোবার দিল্লি চলোর ডাক দিলেন অভিষেক।
২১-শের মঞ্চ থেকে হুঙ্কার করে অভিষেক বলেন, আগামীদিনে বাংলার মানুষ দিল্লি গিয়ে নিজের অধিকার ছিনিয়ে আনবে। নিজের অধিকারের স্বার্থে লড়বে। আগামী ৫ অগাস্ট শনিবার বিজেপির সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি ঘেরায়ও সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা গণ ঘেরাও। তবে বাড়িতে কোনও বৃদ্ধ মানুষ থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। কিন্তু বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরোবেও না ঢুকবেও না। কিন্তু গায়ে হাত দেবেন না। গণ ঘেরাও কর্মসূচি হবে। তারপর দিল্লি ঘেরাও হবে। সর্বশক্তি লাগিয়ে দেব। ট্রেনে করে বুকে আশা বেঁধে দিল্লি চলো।
দেশজুড়ে ডবল ইঞ্জিন সরকার মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ছেড়েছে। দু-মাস আগে যখন এটা হচ্ছিল তখন মোদী-অমিত শাহ কর্ণাটকে নির্বাচনী বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। এখনও মণিপুরের ঘটনায় কেউ শাস্তি পায়নি।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: মমতাকে খুনের চেষ্টা? ‘পুলিস’ লেখা গাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢোকার চেষ্টা যুবকের!