২১ শে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ শুরু হওয়ার পর থেকে মাইকে সঞ্চালনা করতে দেখা গেল অরূপকে। সভার শুরু থেকে শেষ অবধি দায়িত্বে তিনি। তবে মাঝেমধ্যেই সুব্রত বক্সিকে অরূপের কানে কানে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছে। তবে সঞ্চালনার মাইকের ‘হাতবদল’ নিয়ে দলের অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, সুব্রত বক্সির শরীর ঠিক নেই। ২১ জুলাইয়ের মতো মেগা ইভেন্টে তাই আর সঞ্চালনার ‘রিস্ক’ নেননি তিনি। অন্যদিকে আরও একটি সূত্রের দাবি, টালিগঞ্জের বিধায়ক ও মন্ত্রী অরূপ বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট বৃত্তে সবসময়ই তাঁকে দেখা যায়। এমনকী দলের সর্বভারতী/ সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও অরূপের প্রতি আস্থাশীল। ‘নবজোয়ার’ পরবর্তী তৃণমূলের চিহ্ন হিসেবে অরূপে সঞ্চালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন নেতৃত্ব তুলে আনার ডাক দিতে মাঝেমাঝেই শোনা যায়। মমতার সেই অবস্থানের স্বরূপ বিদ্যুৎমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মমতার বাড়িতে সাংগঠনিক বৈঠকে দলের সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন সুব্রত বক্সি। সেই পদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে সভাপতি পদে থাকা বক্সির এহেন দাবি মেনে নেননি মমতা। ভরা সভায় বক্সিদার উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন. ‘এসব এখানে আলোচনার করার জায়গা নয়।’
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে চড়া সুর ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। আগামী দিনে INDIA জোট বিজেপিকে পরাজিত করবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মণিপুর প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, ‘মণিপুরে লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা তথা পুরো দেশ, মণিপুরের ভাইবোনদের পাশে রয়েছি। বিজেপির মুখেই শুধু বেটি বাঁচাওয়ের কথা বলে। কোনও কাজের কাজ করে না বিজেপি।’