এদিকে এই নোটিশ পড়তেই বির্তক দানা বেঁধেছে যাত্রীদের মধ্যে। আগাম নোটিশ ছাড়াই কিভাবে আচমকা ফেরি পরিষেবার ভাড়া বৃদ্ধি করা হল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিত্যযাত্রীরা। তবে হুগলী নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি লিমিটেডের বক্তব্য, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি তাদের জানা নেই। সূত্রের খবর দীর্ঘদিন ধরেই গাদিয়াড়া থেকে গেঁওখালি ও নূরপূর যাতায়াতের জন্য একটা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লঞ্চ চালানোর দাবি করে আসছিলেন নিত্যযাত্রীরা। সেইমত গত জুন মাসে গাদিয়াড়ায় একটি নতুন লঞ্চ পরিষেবা চালু করে হুগলী নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতি। আর তাতেই সমস্যা দেখা দেয়। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই লঞ্চ সারাদিন চালালে প্রচুর পরিমানে তেল খরচ হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীদের ভাড়া থেকে যে পরিমান টাকা আয়া হচ্ছে সেটা দিয়ে তেলের দাম মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আগামীদিনে এই পরিষেবা চালু রাখা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দেয়।
সেক্ষেত্রে এই পরিষেবা চালু রাখতে সমবায় সমিতির অলক্ষ্যেই একশ্রেণীর কর্মচারি লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর এটা নিয়েই যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, নতুন লঞ্চ পরিষেবা চালুর পরেই একশ্রেণীর কর্মচারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইচ্ছে মতো বেশি ভাড়া নেওয়া শুরু করেন। এর মাঝেই আবার নতুন করে সোমবার থেকে ৮ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা করে নেওয়ার নোটিশকে কেন্দ্র করে সন্দেহ প্রকাশ করেছে নিত্যযাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, কোনও নোটিশ ছাড়াই লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি শুধু নয়, এর সঙ্গে গেটের মুখে টিকিটি নেওয়ার পর তা না ছিঁড়ে পকেটে পুরে নিচ্ছেন দায়িত্বে থাকা কর্মচারী। আর তাতেই বেড়েছে সন্দেহ।
এদিকে গাদিয়াড়ার ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে খোজখবর নেবেন বলে জানান হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতির আধিকারিক জয় ধর। পাশাপাশি টিকিট না ছিঁড়ে পকেটে ঢুকিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, শুধু গাদিয়াড়া নয়, বাউড়িয়া, বজবজ, নাজিরগঞ্জ হাওড়াতেও এইরকম অভিযোগ আসছে। কয়েকটি জায়গায় কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।