সেলিম বলেন, ‘অনেক পরিবর্তন হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাঁচ বছর আগে উনি বলেছিলেন আমি চললাম দিল্লি। এখানে অভিষেক চালাবে। পোস্টারও পড়ে গিয়েছিল। ডেলো বৈঠক হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য চিটফান্ডের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। এখন ডেলো ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আর বামপন্থীরা প্রথম থেকে বলল নেতা নয় নীতির প্রশ্ন। এটা আজকে গোটা দেশের সব রাজনৈতিক দল মেনেছে। একমাত্র বিজেপি এবং দক্ষিণপন্থী দলগুলো চাইছে কাউকে মুখ করে এগোতে।’
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেকে রাষ্ট্রপতি ভাবেন। এখান থেকে নতুন করে দেশটাকে বাচানোর চেষ্টা করতে হবে। শুধু মঞ্চে ঘোষণা করে নয়, কাজে করে দেখাতে হবে।’ পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাওয়া প্রসঙ্গকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘কেন সাংসদরা আন্দোলন করছেন না। কেন তিন মাস সময় চেয়ে নেওয়া হল, এটা তাহলে কি সেটিং?’ একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ও হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার বিষয়টিকেও তীব্র কটাক্ষ করেন সেলিম।
প্রসঙ্গত ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে বিরোধীদের জোট প্রসঙ্গে আজ একুশের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি খুশি চব্বিশের আগে ইন্ডিয়া নামে একটি জোট তৈরি করতে পেরেছি। ভারতবর্ষে যে লড়াই-ই হোক না কেন, সবটাই ইন্ডিয়ার ব্যানারে হবে। ভারত জিতবে, এই ব্যানারে কাজ হবে। মমতা আরও বলেন, আমরা চেয়ারকে কেয়ার করি না। কোনও চেয়ার আমাদের চাই না।’
একইসঙ্গে সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও অশান্তি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘৭১ হাজার বুথে নির্বাচন হল, আর ৩টে জায়গায় গণ্ডগোল হল। একটা ভাঙড়, সেখানে ওই হাঙররা গণ্ডগোল করেছে। আর একটা ডোমকলে। একটা গণ্ডগোল হয়েছে ইসলামপুর বা চোপড়ার দিকে। আর কোচবিহারে একজন মারা গিয়েছেন। আর তৃণমূলের খুন হয়েছেন ১৮ জন। প্রত্যেকটা পরিবারকে আমরা ২ লাখ টাকা করে দিচ্ছি। সঙ্গে একটা করে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরিও দিচ্ছি।’