গত কয়েকদিন ধরেই শিলিগুড়িতে পানীয় জলের অভাবে ভুগছেন শহরবাসী৷ বহু ওয়ার্ডে জল আসছে না৷ আবার কোথাও জল আসলেও সামান্য কিছুক্ষন থেকেই জল চলে যাচ্ছে৷ এমন অবস্থায় বহু জায়গায় বাসিন্দাদের শেষমেষ দোকান থেকে পানীয় জল কিনে কিংবা কুড়ি লিটারের জার কিনে খেতে হচ্ছে৷ প্রবল বৃষ্টিতে ফুলবাড়িতে জলাধারের জল অপরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় পরিশ্রুত করতে সময় লাগছে বলে জানা গিয়েছে। এতেই সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। পানীয় জলের অভাব নিয়ে প্রতিনিয়ত পুরসভায় অভিযোগ আসছে৷ ‘মেয়রকে বলো’তেও অভিযোগ আসছে৷
গত কয়েকদিন ধরেই জল কম আসছে ওয়ার্ডগুলিতে৷ চাহিদা মতো জল উত্তোলন ও সরবরাহ না হওয়াতেই এই সমস্যা বাড়ছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর৷ এদিকে দ্বিতীয় জল প্রকল্পের জন্য কিছুদিন আগে টেন্ডার ডাকা হয়৷ কিন্তু প্রথম টেন্ডারে কোনও এজেন্সি অংশ নেয়নি৷ ফের টেন্ডার করা হয়েছে৷
মেয়র গৌতম দেব বলেছেন, ‘শিলিগুড়িতে চাহিদা মতো জল না পাওয়ার কারণে পানীয় জলের সমস্যা হচ্ছে৷ দ্বিতীয় জল প্রকল্প হয়ে গেলে এই সমস্যা মিটে যাবে৷ এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুই হাজার লিটারের জলের ট্যাঙ্ক পাঠানোর ব্যবস্থা করছি৷ সেখান থেকে বাসিন্দারা জল নিতে পারবেন’৷
এদিকে একদিকে যখন শহরে জলের অভাব তখন অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জল নষ্ট হচ্ছে৷ কোথাও পানীয় জল ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার হচ্ছে৷ আবার কোথাও স্ট্যান্ড পোস্টগুলির কল ভাঙা থাকায় সেখান দিয়ে অনবরত জল পড়ে যাচ্ছে৷ এই বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ আসছে।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমাদের আবাসনে মাত্র ৫ থেকে ৬ পয়েন্ট করে জল আসছে। এতে পাম্প চালানো যাচ্ছে না। আর এদিকে রাস্তায় বেরিয়ে দেখছি ভাঙা কল থেকে প্রচুর জল নষ্ট হচ্ছে। এই বিষয়ে কর্পোরেশনের নজর দেওয়া উচিৎ’।