সেই সঙ্গে আজকের সমাবেশ থেকে ৫ আগস্ট বুথে বুথে BJP নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন অভিষেক। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কর্মসূচি বদলে বলেছেন, ব্লকে ব্লকে কর্মসূচি হবে। ১০০ মিটার দূরে হবে বাড়ি ঘেরাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি এমনটা বলতে পারেন না বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অভিষেক ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। শুভেন্দু ডায়মন্ড হারবারে পঞ্চায়েত ভোটে যেখানে হিংসা ও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সেই এলাকাগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
কথা বলেন আক্রান্ত ও স্বজনহারাদের সঙ্গে। তারই ফাঁকে তিনি বলেন, ‘ডিম্ভাতের উৎসবে ভাইপোর অহঙ্কার, দম্ভ দেখুন। ৫ আগস্ট BJP-র ছোট থেকে বড় নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন!’ শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল নাকি ৫ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত BJP নেতাদের বাড়ি ঘিরবে। বয়স্ক ছাড়া কাউকে বেরোতেও দেবে না, ঢুকতেও দেবে না। অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের অনুমতি পেতে কোর্টে যাচ্ছি। এই কর্মসূচিতে মানুষের মৌলিক অধিকার বিপন্ন। যা নিশ্চিত করেছেন বাবাসাহেব আম্বেদকর।’
বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘কার বাড়িতে কে ঢুকবে কে বেরোবে তা মানুষের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। BJP-র কোনও কর্মীর বাড়িতে যদি এই কর্মসূচি তৃণমূল করতে যায় তাহলে পার্লামেন্টে তৃণমূল সাংসদদের ঢুকতে দেব না।’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও BJP নেতার বাড়ি ১০০ মিটার দূর থেকে ঘেরাও করার কথা মমতা বলতে পারেন না বলে মন্তব্য শুভেন্দুর।
শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার জেরে ঘর ছাড়া বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারের কুলেশ্বর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমরা কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই জিনিস বরদাস্ত করব না। কর্মীদের বাড়ি, তাঁদের স্ত্রী-পুত্র, বাবা-মাকে রক্ষার দায়িত্ব BJP-র। আমি সিরিয়াসসি দেখব। এর ফল মারাত্মক হবে। আমি বলব এটা অহঙ্কারী, দাম্ভিক, নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ। আমার বাড়িতেও এমনটা করেছে, হাইকোর্টে গিয়েছি।’
এমন অসভ্য রাজনীতি দেখিনি বলেও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। আমতলা BJP কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত ও ঘরছাড়া BJP কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু। BJP আজ রাজ্যজুড়ে BDO অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল। শুভেন্দু বলেন, ‘ওরা ভয় পেয়ে BDO অফিসের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছিল।’