জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আগামী ৫ আগস্ট সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য বিজেপির নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করা হবে। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানাতে চলেছে বিজেপি। এমনটাই জানালেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন-বকেয়া আদায়ের দাবিতে বাংলার বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করব, ঘোষণা অভিষেকের
শনিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, প্রথমত আমি হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করব মেল পাঠিয়ে। পশ্চিমবাংলার এক সাংসদ যিনি আপত্তিকর কথা বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে ১৫৪ ধারায় এফআইআর করব। আমি নিজে ওই হুমকির ভিক্টিম। গত ২ থেকে আড়াই বছর আমার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে দশ বারেরও বেশি।
অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই হুঁশিয়ারি নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল যেন মনে রাখে ওরা শুধু বাংলায় রয়েছে। বিষয়টি রাজ্যপাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানাব। এইসব নেতারা গুরুতর অসুস্থ হলে চেন্নাই যান। সেখানে বিজেপি আছে। বিজেপি সেখানে তাদের ঘেরাও করতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের টাকার অভাব নেই। ছেলেমেয়েদের রাজ্যের বাইরে মেডিক্য়াল পড়ান, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ান। আমরা তাদেরও ঘেরাও করতে পারি। কিন্তু বিজেপি এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা এটা করব না।
একুশের মঞ্চ থেকে ঠিক কী বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়? ২১-শের মঞ্চ থেকে হুঙ্কার দিকে অভিষেক বলেন, আগামীদিনে বাংলার মানুষ দিল্লি গিয়ে নিজের অধিকার ছিনিয়ে আনবে। নিজের অধিকারের স্বার্থে লড়বে। আগামী ৫ অগাস্ট শনিবার বিজেপির সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করা হবে। তবে বাড়িতে কোনও বৃদ্ধ মানুষ থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। কিন্তু বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরোবেও না ঢুকবেও না। কিন্তু গায়ে হাত দেবেন না। গণ ঘেরাও কর্মসূচি হবে। তারপর দিল্লি ঘেরাও হবে।
উল্লেখ্য, অভিষেকের ওই মন্তব্যের পরই তৃণমূলের ওই কর্মসূচি কিছুটা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অভিষেককে বলব বাড়ির সামনে নয়। বাড়ি থেকে অন্তত একশো মিটার দূরে প্রতীকী অবস্থান হোক যাতে কারও মনে না হয় যে তাদের ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।
এদিকে, অভিষেকের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর ওই এফআইআর এর হুঁশিয়ারি নিয়ে তৃণমূল নেতা তাপ রায় বলেন, ওর রাজনৈতিক ম্যাচুরিটি আসেনি। ওকে সভাপতি করে দিয়েছে। এই জন্য বাংলাতে ওরা গিয়েছে। দেশ থেকেও ওরা যাবে। আসল ব্য়াপার হল, ও যে কোনও দিন সরে যেতে পারেয তাই এইসব বলে ভেসে থাকতে চাইছে। যদি কিছু পারে তো করবে।