SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি। শিরোনামে উঠে আসা অর্পিতা রাজ্য়ের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’, বিভিন্ন মহলে উঠছিল এই দাবিও। বাংলার শহর থেকে গ্রামবাংলা, আলোচনার একটাই বিষয়ে ‘অপা’।
এদিকে অসহায় হয়ে সংবাদ মাধ্যমে চোখ রেখেছিলেন এক প্রবীণা- অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মা মিনতি মুখোপাধ্যায়। বনেদি পরিবারের মেয়ে অর্পিতা। কিন্তু, তাঁর পৈত্রিক বাড়িতে শ্যাওলা পড়েছে। পলেস্তারা খসে পড়া বাড়ির ভেতরে বসেই মেয়েকে নিয়ে একাধিক মন্তব্য জানছিলেন প্রবীণা। কেন্দ্র সরকারের চাকরি করতেন অর্পিতার বাবা। তাঁর মৃত্যুর পর সেই কাজ পাওয়ার কথা ছিল অর্পিতার। কিন্তু, মেয়ে কিছুতেই তা করেননি, এমনটাই দাবি করেছিলেন মিনতিদেবী।
মেয়ের গ্রেফতারির পর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্পিতার মা মিনতিদেবী বলেন, “সত্যিটা ঠিক কী তা জানা নেই। আগে তা জানব। আমার মেয়েকে নিয়ে যা যা করার করব।” পাশাপাশি এক মায়ের কণ্ঠে ঝরে পড়েছিল আক্ষেপ। তিনি বলেছিলেন, “আমার কথা শুনলে আগেই বিয়ে দিয়ে দিতাম।” আজকালকার সন্তানরা যে মা বাবার কথা খুব একটা বেশি কানে তোলেন না, সেই নিয়েও আক্ষেপ করেছিলেন এই প্রবীণা।
আপাতত একাই থাকেন মিনতিদেবী। জেলবন্দি অর্পিতাকে মাঝে একবার আকুল হয়ে দেখা গিয়েছিল মায়ের জন্য। মায়ের কোনও খবর পাচ্ছিলেন না তিনি, এই বার্তা তুলে ধরেছিলেন আদালতে।
অর্পিতা এবং পার্থর গ্রেফতারির পর তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। অর্পিতার পাড়ার লোকজন দাবি করেছিলেন, তাঁরা জানতেন অর্পিতা এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে মামা এবং ভাগ্নি।
দেওয়ানপাড়া আব্দুল লতিফ স্ট্রিটে পৈতৃক বাড়ি অর্পিতার । একসময় বেশ বিত্তশালী ছিল তাঁর পরিবার। বর্তমানে অধিকাংশ সম্পত্তিই হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তিনমাথা মোড়ে পাড়ার পুজোর অনেক দায়িত্ব নিতেন অর্পিতা দাবি ছিল প্রতিবেশীদের। তাঁদের কথায়, অর্পিতা অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে তাঁরা জানতেন। কিন্তু, কোনওভাবেই কোনও দুর্নীতির সঙ্গে পাড়ার মেয়ে জড়িয়ে থাকতে পারে, এ তাঁদের ভাবনারও বাইরে।