মেলের যাত্রীদের সূত্রে খবর, সকাল ৯ টা ৩০ নাগাদ ট্রেনটি মেচেদা সেশানে ঢোকার মুখে মঞ্জিলা খাতুনের প্রসব যন্ত্রনা শুরু হয়। তিনি ট্রেনের মধ্যে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এদিকে ট্রেনের মধ্যে সদ্যোজাত ও ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই সহযাত্রীরা টিকিট পরীক্ষককে বিষয়টি জানান। এরপরেই রেল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে তৎপরতা শুরু হয়। রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বাগনান স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তৎপর হয় রেল পুলিশ জিআরপি ও রেলকর্মীরা। দক্ষিণ পূর্ব রেলের প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি নার্সিংহোমের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়।
বাগনান স্টেশনের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত রাখা হয়। পরে মুম্বই মেলকে বাগনান স্টেশনে দাঁড় করানো হলে মা ও সদ্যোজাতকে দ্রুত নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুজনের চিকিৎসা করার পর তাঁদেরকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। নার্সিংহোমের এক ডাক্তার এই বিষয়ে বলেন, ‘সদ্যোজাত প্রিম্যাচিউর। আমরা এখানে দু’ঘণ্টা মা ও শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই’। অন্যদিকে দক্ষিণ পূর্ব রেলের প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অজয় দলুই বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে যে চলন্ত ট্রেনে এক মহিলা সন্তান ভূমিষ্ঠ করেছেন।
তখন আমরা তাড়াতাড়ি উদ্যোগ নিয়ে একটি নার্সিংহোমের সঙ্গে যোগাযোগ করি ও তাঁদের সব ব্যবস্থা করে রাখতে বলি। এই ধরনের কাজ করতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা-মুর্শিদাবাদ লালগোলা প্যাসেঞ্জারে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা প্রসব করেন। ট্রেনের ভিতরেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কৃষ্ণনগরে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতেই চুড়ান্ত তৎপরতার সঙ্গে ওই মহিলাকে ট্রেন থেকে নামানো হয়। উদ্ধার করা হয় সদ্যোজাতকেও।