পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ঠিক পিছন দিকেই একটি ইটভাটা রয়েছে। সেই ইটভাটার পাশে একটি ধানের জমিতে গতকাল রাতে সুতলি বোমার মতো তিনটি বস্তু দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ তদন্ত করে দেখতে পায় ধানের জমিতে তিনটি সুতলি বোমা রাখা আছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ তৎক্ষণাৎ ওই জমিতে গর্ত করে বোম গুলিকে মাটির তলায় পুতে দেয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী।
এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে তিনটি বোম উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা ওই এলাকায় বোমা রেখেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা তো এই রকম বোমা কোনওদিন চোখে দেখেনি।
এই প্রথম চোখের সামনে দেখলাম। পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। আমরা যথেষ্ট ভয়ে রয়েছি’। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল রাতেই বোমাগুলো লক্ষ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বোমা দেখতে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে জনসাধারণকে সরিয়ে জায়গাটিকে ঘিরে ফেলে।
ভোটের পর মালদার যত্রতত্র উদ্ধার হচ্ছে তাজা বোমা। কখনও স্কুলের ভিতর থেকে আবার কখন লিচু বাগান বা পাট ক্ষেত থেকে প্রায়ই তাজা বোমা উদ্ধার হচ্ছে। ভোটের আগে থেকেই এমন ঘটনা প্রকাশ্য আসছে। ভোট পরবর্তীতেও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে তাজা বোমা। কিছুদিন আগেও কালিয়াচক থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। ভোট মিটে গেলেও এই বোমা উদ্ধার হওয়ার ঘটনার শেষ কবে, সেই চিন্তাই করছেন সাধারণ মানুষ।