Malda Pakuahat News : পাকুয়াহাটে ২ মহিলাকে ‘বিবস্ত্র করে মারধর’-এর ঘটনায় গ্রেফতার ৫, বাকিদের খোঁজে জারি তল্লাশি – malda pakuahat incident police arrested 5 people in two female physically assault case


মালদার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে নগ্ন করে মারধরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করল বামনগোলা থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে আরও দু’জনকে দেখা গিয়েছে। তাদেরও সন্ধান চালাচ্ছে বামনগোলা থানার পুলিশ।

প্রসঙ্গত, মালদার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে নগ্ন করে মারধর ও জুতোপেটার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এইসময় ডিজিটাল। ঘটনায় নিগৃহীতা এক মহিলার মেয়ে জানান, তাঁর মা পাকুয়াহাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। একজন মিষ্টি বিক্রেতা বলে তাঁরা নাকি চুরি করেছে। তারপরেই সবাই মিলে তার মা ও কাকিমাকে মারতে শুরু করে। নিগৃহীতার মেয়ে আরও জানায়, এই ঘটনায় পুলিশ তাঁর মা ও কাকিমাকেই গ্রেফতার করে।

Manipur Video : ‘ফাঁসি চাই…’, মহিলাদের লাঞ্ছনার ঘটনায় সরব মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র নিশানা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। টুইটে তিনি লেখেন,’ আতঙ্ক অব্যাহত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়া হাট এলাকায় ২ আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে নির্মমভাবে নির্যাতন এবং মারধর করা হয়েছ। ঘটনাস্থলে নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে ১৯ জুলাই সকালে। এটি একটি এমন ট্র্যাজেডি যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন ‘ভেঙে’ যাওয়া উচিত ছিল ও তিনি আক্রোশের পরিবর্তে তদন্ত করাতে পারতেন। কারণ বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তিনিই। কিন্তু তিনি তেমন কিছুই করেননি। তিনি বর্বরতার নিন্দা করেননি বা দুঃখপ্রকাশও করেননি। কারণ, এটি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর নিজের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরবে।’ প্রায় একই সুর শোনা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের গলাতেও। আবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে নারী ও দলিত মহিলাদের হাল খুব খারাপ! বামনগোলার ঘটনার পর এরাজ্যে সরকার আছে বলে মনে হয় না।মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়।’

পালটা তৃণমূলের হয়ে আসরে নামেন শশী পাঁজা। তিনি বলেন, ‘একটা বড় হাট, সেখানে অনেক মানুষ অনেক কিছু বিক্রি করেন, সেখানে চুরি হয়েছে। দুই মহিলা চোর ছিল, যাঁরা ধরে তাঁরাও মহিলা। ধস্তাধস্তি হয়, প্রত্যেকেই গরীব। সেই সময় খুলে যায় পোশাক। সেটাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা হচ্ছে কেন? মারমারি থামানোর চেষ্টা করেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। মহিলারা আইন হাতে তুলে নিয়েছে, এটা ঠিক নয়। পুলিশ মামলা দায়ের করেছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *