বৃষ্টির কারণে সেগুলি খুলে খুলে মাটিতে পড়ছে, রাস্তার উপর ঝুলে পড়েছে আবার বড় বড় বাঁশ দিয়ে বাঁধা পতাকা রাস্তার উপর ঝুলে রয়েছে। একদিকে যেমন দলীয় প্রতীকের অবমাননা হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশ দুষণ ও দুর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষজন। ভোটের সময় ঘটা করে এলাকা জুড়ে ব্যানার, ফেস্টুন,পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়। ভোট শেষে সেগুলি আর দায়িত্ব নিয়ে খোলা হয় না। পরিবেশ দূষণ ও দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেতে রাজনৈতিক দলের ব্যানার, ফেস্টুন,পতাকা গুলি খুলে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেকেই বলেন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের সঙ্গে, স্থানীয় মানুষ ও প্রশাসনের কাছে।
শিক্ষক অশোককুমার লাটুয়া বলেন, ‘ভোট শেষে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কর্তব্য তাদের ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা গুলি খুলে নেওয়া। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। তাই দৃশ্য দূষণের পাশাপাশি বিপদের আশঙ্কা করছি’। রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা খুলে নেওয়া উচিত বলে জানালেও তাঁরা তাঁদের মতো করে অজুহাত দিয়ে চলেছেন। জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেছেন, ‘আমরাও এগুলি খুলে দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু ২১শে জুলাই উপলক্ষ্যে কর্মী পাওয়া যায়নি। আর এই সামান্য কাজের জন্য ভাড়ায় শ্রমিক নেওয়ার কোনও মানে হয়না। খুব তাড়াতাড়ি খুলে দেওয়া হবে সব’।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনেই তাঁরা সরকারি জায়গার উপর যে সমস্ত ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা লাগানো ছিলো সেগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত জায়গায় যেগুলি রয়েছে সেগুলি রাজনৈতিক দলের খুলে নেওয়া উচিৎ। যদি খুলে না নেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে যাতে খুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হবে। এখন দেখার কবে খোলা হয় যত্রতত্র লাগানো রাজনৈতিক দলের ব্যানার, ফেস্টুন ও পতাকা।