দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ! ধুন্ধুমার হাওড়ায়, আহত একাধিক


দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হাওড়ায়। একদল বলছে, দুর্গাপুজোতে রাজনীতিকরণ হবে না। পুজো করবেন গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে, স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতৃত্ব পুজো কমিটি গঠন করে। তাঁদের উদ্যোগেই পুজো হবে, দাবি তাঁদেরও। দুই পক্ষের ঝামেলায় ধুন্ধুমার কাণ্ড হাওড়া জেলার জগদীশপুরে।

Mangla Haat Fire : হাওড়া মঙ্গলাহাট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তর্ঘাত? জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের পুলিশের
দুর্গা উৎসব কমিটির বৈঠককে ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার জগদীশপুরে। রবিবার বিকালে জগদীশপুর এর মাঝেরহাট দুর্গোৎসব কমিটির বৈঠক ডাকেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন বহিরাগত তৃণমূল কর্মীরা ওই পূজা কমিটিতে ঢোকার জন্য হামলা চালায়। এই ঘটনায় কমপক্ষে চারজন গ্রামবাসী আহত হয়। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Mangla Haat Fire News : &amp#39;নাটের গুরু&amp#39;, মঙ্গলাহাট অগ্নিকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রভাবশালী &amp#39;ঘনিষ্ঠ&amp#39;! কে এই শান্তিরঞ্জন?
ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ছুটে যায় বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং রাফ। রবিবার বিকেলে জগদীশপুর মাঝেরহাট এলাকায় দীর্ঘদিনের পুরানো দুর্গা পুজো মাঝেরহাট দুর্গা উৎসব কমিটির পুজোর জন্য বৈঠক ডাকেন গ্রামবাসীরা। এলাকার মানুষের অভিযোগ গত দুবছর ধরে বাইরের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা ও কর্মী পুজো কমিটি দখল করে পুজোর ব্যবস্থা করেন।

Mangla Haat Fire : একদিন পেরোলেও ধিকধিক জ্বলছে আগুন, নতুন দোকানের দাবিতে অবস্থানে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা
এই নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে। এবজরে গ্রামবাসীরা জোট বেঁধে পুজো করবেন বলে ঠিক করেন। সেইমতো রবিবার বিকেলে ক্লাবের মধ্যে গ্রামবাসীরা বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে মহিলারাও অংশগ্রহণ করেন। একজন বাসিন্দা বলেন, ‘ আমরা চাইছি এই পুজোয় রাজনীতির রং না লাগুক। গ্রামবাসীরা উদ্যোগ নিয়ে এই পুজো করবেন। এরকমটাই চাইছি আমরা।’

Durga Puja 2023 : মহিলা পুরোহিতদের গান-মন্ত্রের মেলবন্ধনে দুর্গা পুজোর সূচনা

অভিযোগ, গ্রামবাসীদের বৈঠক চলাকালীন বেশ কিছু বহিরাগত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হামলা চালায় এবং গ্রামবাসীদের মারধর করেন। এই ঘটনায় চারজন গ্রামবাসী আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে লিলুয়া থানার পুলিশ এবং RAF। গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করলে পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে চাপা উত্তেজনারা রয়েছে। হামলার জেরে মিটিং ভেস্তে যায়। এই নিয়ে তীব্র প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। তারা এ বছর নিজেরাই পয়সা খরচ করে পূজা করতে চান এমনটাই জানিয়েছেন।
তৃণমূল থেকে অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে পুজোর আয়োজন করে আসছি। হঠাৎ কিছু বহিরাগত লোক এসে তাঁরা গোলমাল করেছে। আমাদের অনেককে মারধর করেছে। তারা জোর করে এই পুজো কমিটির দায়িত্ব নিতে চাইছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *