দমকলের সেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এখানে ঘটেছে, প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ অর্থাৎ জামা কাপড় এবং আরও অন্যান্য সামগ্রী এখানে মজুত ছিল। কিন্তু আগুন নেভানোর পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা ছিল না। পরোক্ষভাবে হাট মালিক বা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথাই মূলত উল্লেখ করা হয়েছে।
সেই ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করেছে হাওড়া থানার পুলিশ। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যে অভিযোগ জমা পড়ছে সেগুলো এই মামলায় যোগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। জমা পড়েছে এফএসএল রিপোর্ট। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে হাট মালিকের গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলা হাটের জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নেওয়া ছিল শান্তিরঞ্জন দে নামে এক ব্যক্তির নামে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, মঙ্গলাহাটে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে থাকতে পারে শান্তিরঞ্জন দে-এর হাত। জানা গিয়েছে, একসময় ওই জমি লিজে নিয়েছিলেন শান্তিরঞ্জন দে নামে ওই ব্যক্তি। কিন্তু সেই জমির লিজের মেয়াদ বর্তমানে শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে শান্তিরঞ্জন দে-এর দাবি, এখনও সেই জমি তাঁর অধীনেই রয়েছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে মঙ্গলা হাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছোট বড়ো প্রায় হাজার পাঁচেক দোকান রয়েছে ওই হাটে। প্রচুর মানুষের রুজিরুটি যুক্ত রয়েছে এই হাটের সঙ্গে। ঘটনার পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দেন। ঘটনাস্থলে যান ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও।