সল্টলেকের বই মেলা প্রাঙ্গনের চারটি জায়গায় তাঁদের রাখা হয়। এছাড়াও সেন্ট্রাল পার্ক, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ এবং ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রেও প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ছিলেন বৃহস্পতিবার রাতে। তাঁদের প্রাতঃরাশ, দুপুর এবং রাতের খাবার দেওয়া হয়। ছোটদের প্রতিটি খাবার দেওয়ার সময় আলাদা করে দুধ দেওয়া হয়।
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কর্মীদের জন্য দলের তরফে ১৬০ ক্যুইন্টল চাল এবং ৩ লাখ ২ হাজারটি ডিমের বন্দোবস্ত করা হয়। এই ক্যাম্পগুলির পাশাপাশি ধর্মতলা এবং শিয়ালদার একাধিক হোটেল এবং গেস্ট হাউসে তৃণমূল সমর্থকরা ছিলেন।
দলে তরফে লাখ লাখ মানুষের ভিড়ের প্রত্যাশা করা হয়েছিল ২১ জুলাইয়ের সভার জন্য। কোচবিহার থেকে আগত ঋতব্রত দত্ত ২১-এর শহিদ স্মরণ সভায় যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমরা এখানে এসেছি দিদিকে শোনার জন্য। আসন্ন লোকসভার জন্য তিনি দলের নীতি নির্ধারণ করে দেবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল সাফল্য পেয়েছে। লোকসভাতেও পাবে।”
২১ জুলাইয়ের ক্যাম্পগুলিতে খাদ্য তালিকায় ঠিক কী কী ছিল?
এই ক্যাম্পগুলিতে প্রাতঃরাশে ছিল- লুচি আলুর দম বা মুড়ি ঘুগনি। দুপুর এবং রাতের খাবারে ছিল ভাত, ডাল, পাঁচমেশালি সবজি বা সোয়াবিনের তরকারি এবং ডিমের ঝোল।
শহরে প্রতিদিন প্রায় এক কোটির কাছাকাছি ডিম বিক্রি হয়। কিন্তু, তৃণমূলের তরফে ২১ জুলাইয়ের আগে একটি বড় অংকের ডিম কিনে নেওয়া হয়। ফলে কিছু বাজারে ডিমের সাময়িক অভাবও দেখা গিয়েছিল।
তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ২১-এ জুলাইয়ের জন্য গীতাঞ্জলি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা সুশান্ত ঘোষ বলেন, “যাঁরা এসেছেন তাঁরা দলের সমর্থক। সকলকে পরিচ্ছন্ন জায়গা দেওয়া এবং খাবার দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কোনও দলীয় কর্মী যাতে অভুক্ত না থাকে আমরা তা নিশ্চিত করতে চাই।”
উল্লেখ্য, ২১ জুলাইয়ের ভিড়ে কার্যত খুশি দলীয় নেতৃত্ব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে সেই বিষয়টি তুলেও ধরেছিলেন। তিনি বলেন, “যেই দিকেই তাকাই মাথা আর মাথা!”