Calcutta High Court : মহিলা গরিব বলে কাজ করেনি সরকারি ‘বাবুরা’, তোপ কোর্টের – justice abhijit gangopadhyay fired a cannon at school inspector


অমিত চক্রবর্তী
আবেদনকারী প্রভাবশালী নন। নিতান্তই গরিব। ফলে সরকারি বাবুদের হাতে টাকা গুঁজে দিতে পারেননি। তাই তাঁর আবেদনে সাড়াও দেননি সেই ‘বাবুরা’। কর্মরত স্বামীর মৃত্যুর পর স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে চাকরির যে আবেদন করেছিলেন স্ত্রী, তা আট বছর ধরে ফেলে রাখায় জেলা স্কুল ইনস্পেক্টরদের কাঠগড়ায় তুলে সরাকরি দফতরে ঘুঘুর বাসা নিয়ে তোপ দাগলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

৭৫ দিনের মধ্যে মামলাকারী মহিলার আবেদন খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের নির্দেশের পাশাপাশি কর্তব্যে অবহেলায় পুরুলিয়ার ডিআই পদে ২০১৫ থেকে কাজ করা ৭ অফিসারের কারও বেতন, কারও অবসরকালীন ভাতা তিন মাসের জন্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। লিখিত রায়ে বিচারপতির সংযোজন, মামলাকারী মহিলা গরিব হলেও এই দেশের নাগরিক, এটা সবাই মনে রাখুক।

Calcutta High Court : বকেয়া এইচআরএ পাবেন স্কুলশিক্ষকরা
এমন গরিবদের মামলা এলে তাঁদের দ্রুত বিচার দেওয়ার জন্যে বিচারব্যবস্থার কাছেও আবেদন করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ২০১৫ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর আদিবাসী মহিলা ললিতা মুর্মু আট বছর ধরে সরকারি অফিসারদের দরজায় দরজায় ঘুরছেন। কোনও সাড়া পাননি।

কিন্তু এ বছর ২৭ জুন এই আদালত নির্দেশ দেওয়ার তিন দিনের মাথায় পুরুলিয়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে তাঁর যাবতীয় কাগজপত্র বাঁকুড়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আঞ্চলিক দফতরে পৌঁছে যায়। তাতে স্পষ্ট, কোনও আবেদনকারী আদালতে না গেলে তাঁর কাজ হবে না। সরকারি বাবুরা নিজে থেকে কিছু করবেন না। সরকারি দফতরগুলি কবে এ থেকে মুক্ত হবে, তা নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করেছে আদালত।

Calcutta High Court : ‘অন্তঃসারশূন্য নির্দেশ বাতিল করা যায় না?’ শুভেন্দু মামলায় বিচারপতি মান্থার রায় প্রসঙ্গ টানল ডিভিশন বেঞ্চ
সেই সঙ্গে গরিব মানুষের মামলা এলে তার দ্রুত শুনানি করে বিচার শেষের আবেদন করেছেন স্বয়ং বিচারপতিই। পুরুলিয়ার ওই আদিবাসী মহিলার আইনজীবী সৈয়দ মনসুর আলি দু’টি মেয়ে নিয়ে বিধবার এত বছরের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেছিলেন আদালতে। সরকারি কৌঁসুলি সুপ্রিয় চট্টোপাধ্যায় আদালতের প্রশ্নের মুখে মেনে নেন ত্রুটি।

Justice Abhijit Ganguly : ‘…কখনও বিরূপ মন্তব্য করেন না’, ‘সুপ্রিমো’-র প্রশংসায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
আদালত যে সাত জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন। এক জন স্কুলশিক্ষা দফতের পদোন্নতি পেয়ে বিকাশভবনে কর্মরত। বাকিরা বিভিন্ন জেলার ডিআই পদে আসীন। আদালত তাঁদের মামলায় যুক্ত করে ফের শুনানি নির্দিষ্ট করেছে। আদালত শিক্ষা দফতরের সর্বশেষ ভূমিকাও জানতে চেয়েছিল। রাজ্যের কৌঁসুলি জানান, ওই মহিলার আবেদনে সবুজ সংকেত দিয়েছে দফতর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *