Elephant Attack : মশাল না জ্বালালেও হাতিদের গতিবিধি সোশ্যাল মিডিয়ায় – jhargram elephant movement live update on social media


এই সময়, ঝাড়গ্রাম: বনদফতর তাঁদের দাবি এখনও মেনে নেয়নি। এদিকে হাতির হানায় দলের দুই সদস্য মারা যাওয়ার পরে এখনও অনড় হুলা পার্টির সদস্যরা। ফলে হাতি তাড়াতে মশালও জ্বলছে না। ফাটছে না পটকাও। কিন্তু দায়বদ্ধতা থেকে হাতির গতিবিধি নিয়ে তাঁরা মেসেজ পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাতে সাধারণ মানুষের প্রাণরক্ষা হয়।

বনকর্তারা আশ্বাস দিলেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। গত ১৪ জুলাই হাতি খেদাতে গিয়ে হুলা পার্টির সদস্য গৌরাঙ্গ মাহাতো ও তিলকা টুডু মারা যান। তারপরেই প্রশিক্ষণ সহ নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া, লোধাগুলি-সহ বিভিন্ন রেঞ্জের হুলা পার্টির সদস্যরা। ঝাড়গ্রাম জেলায় গত দশ বছরে বুনো হাতির সংখ্যাও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Jhargram Elephant Attack : হাতি তাড়াতে গিয়ে মৃত্যুর পর কাজই বন্ধ হুলাপার্টির
হুলা পার্টির সদস্য সদস্য ভরতচন্দ্র মাহাতো, রবীন্দ্র বাস্কেরা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমরা হোয়াটস্যাপ গ্রুপে হাতির গতিবিধি জানিয়ে দিচ্ছি। যাতে দিনের বেলায় যাঁরা জঙ্গল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন তাঁদের সুবিধা হয়। কারণ এ সব এলাকা দিয়ে আমাদের পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীরা যাতায়াত করে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই প্রতি মুহূর্তে মোবাইলে আপডেট জানিয়ে দিচ্ছি আমরা।’

Dooars Tourism : কাঁঠাল খেয়ে, গাড়ি উলটে পগারপাড় দাঁতালের! ভয়ে কাঁটা ডুয়ার্সের রিসর্টের পর্যটকরা
রবীন্দ্র বাস্কে আরো বলেন, ‘আগামী সোমবার জেলাশাসকের মাধ্যমের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হুলা পার্টির সদস্যদের দাবির বিষয়টি জানানো হবে।’ শনিবার ঝাড়গ্রাম বনবিভাগে মোট ৮৮টি হাতি বিভিন্ন এলাকায়। অন্যদিকে, ‘জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা’ সংগঠনের পক্ষ থেকে শনিবার ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রীর কাছে নয় দফা দাবি পত্র পাঠানো হয়েছে।

ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনের জন্য কেন্দ্রীয় টিম পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। ‘জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা’র কেন্দ্রীয় সভাপতি অশোক মাহাতো বলেন,’হাতির স্থায়ী সমাধানের জন্য জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্যের বনমন্ত্রী, সাংসদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে।

Jhargram Elephant Attack : কনেযাত্রীদের খাওয়ার মধ্যে প্যান্ডেলে হাজির হাতির পাল
পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল সহ সীমান্তবর্তী ঝাড়খণ্ড ও ওডিশা রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে হাতি ও মানব সুরক্ষার স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা, ক্ষতি হওয়া ফসলের নায্য বাজার মূল্য, হাতির খাদ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলের গাছ ও বড়ে পুকুর খনন করা, হাতি তাড়ানোর কাজের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় হুলা পার্টি সদস্যদের প্রয়োজনীয় সেফটি কিট,আইডি কার্ড সহ দৈনিক মজুরি ৬০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *