Hooghly News : স্ত্রীয়ের দেহ সৎকারের আগেই স্বামীরও মৃত্যু, এ যেন ঠিক ‘সহমরণ’ – hooghly news today uttarpara husband and wife death between few hours


স্ত্রীর মৃত্যুর পর সৎকারের আগেই মৃত্যু হল স্বামীরও। দু’জনেরই মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হিন্দমোটর বিবিডি রোড এলাকার। মৃত দম্পতির নাম প্রণব দাস ও মালঞ্চ দাস। দম্পতির এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।

জানা গিয়েছে, গতকাল রাত বারোটা নাগাদ উত্তরপাড়ার হিন্দমোটর বিবিডি রোড এলাকার বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন মালঞ্চ দাস। বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ছুটে আসেন পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনেরা। মৃতদেহ বাড়িতেই ছিল। এরপর সৎকারের প্রক্রিয়া শুরু করেন আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা। এরই মাঝে আজ সকাল ৭টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন প্রণব দাস। তড়িঘড়ি তাঁকে একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকেও। এই ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। শোকস্তব্ধ সকলেই।

Uttar Dinajpur : সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার! চরম সিদ্ধান্ত উত্তর দিনাজপুরের যুগলের
প্রতিবেশি দীপঙ্কর সরকার বলেন, ‘দম্পতির মধ্যে গভীর ভালোবাসা ছিল। স্ত্রী-বিয়োগ মানতে পারেনি, তাই প্রণবও চলে গেলো। ঠিক যেন সহমরণ’ দম্পতির এক ছেলে। একসঙ্গে বাবা ও মাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিন তিনিও।

Siliguri Mystery : সেতুতে ঝুলছে দেহ, ব্যক্তির রহস্যমৃত্যু! রাতের শিলিগুড়িতে আতঙ্কের ছায়া
এদিকে এক মহিলা আরপিএফ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে। বহরমপুর কোর্ট স্টেশনের পুলিশ ব্যারাক থেকে ওই কনস্টেবলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতার নাম উমা পণ্ডিত। যদিও মৃতার পরিবারের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পরিবারের অভিযোগের আঙুল মৃতার এক সহকর্মীর দিকে। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

Cyber Crime Complaint: মোবাইলে নগ্ন মহিলার ভিডিয়ো! ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকির পর অস্বাভাবিক মৃত্যু যুবকের
জানা গিয়েছে মৃতা আরপিএফ কনস্টেবলের বাড়ি আসানসোলের নিয়ামতপুর। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। বহরমপুর থানার পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলেই অনুমান রেল পুলিশ ও বহরমপুর থানার পুলিশের।

Siliguri Crime : মেলায় যাওয়া নিয়ে ঝামেলা, স্ত্রীকে খুন করে থানায় হাজির স্বামী
উমা পণ্ডিত রেলের গ্রুপ ডি হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০২১ সালের ১৭ মার্চ লকডাউনের সময় আরপিএফের কনস্টেবল পদে যোগ দেন তিনি। গুজরাতে প্রশিক্ষণ শেষে প্রথম পোস্টিং হিসাবে বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে কাজে যোগ দেন। তখন থেকে এই স্টেশনেই কর্মরত রয়েছেন। বাবা মা দুই ভাই বোনের সংসার উমার উপার্জনের উপরই নির্ভরশীল ছিল।

Woman Toto Driver : ‘রান্না করেছি, ৪টে বাড়িতে কাজ করেছি, এবার টোটো চালাব’!

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দাঁড়িয়ে উমা পণ্ডিতের দাদা সন্দীপ পণ্ডিত বলেন, জুন মাসের ২৩ তারিখ মাসির ছেলের বিয়েতে শেষ বাড়ি গিয়েছিল। তখন মাকে বলেছিল সহকর্মীর সঙ্গে তার ঝামেলা চলছে। শনিবার সকালে ডিউটি ছিল না। ব্যারাকের ঘরেই ছিলেন। সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে ওই ঘর থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *