Swasthya Sathi Card : স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে এমআরআই, সিটি স্ক্যানে রাশ – wb health department taken strict action to prevent fake bills on swasthya sathi card


তাপস প্রামাণিক
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগীদের খুশিমতো সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করা যাবে না বলে কড়াকড়ি আনতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কেন এমন টেস্টের প্রয়োজন, তার যথাযথা ব্যাখ্যা দিতে হবে ডাক্তারকে। এমনকী, এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হবে বলে পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভুয়ো বিল ঠেকাতেই এই উদ্যোগ বলে খবর।

স্বাস্থ্য-আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যসাথীর সুযোগ নিয়ে রাজ্যের কিছু হাসপাতাল ও নার্সিংহোম রোগীদের ইচ্ছেমতো সিটি স্ক্যান, এমআরআই-সহ নানা টেস্ট করিয়ে মোটা টাকার বিল করছে। সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে বলে খবর। তা আটকাতেই পদক্ষেপ করতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর।

WB Govt Jobs: ইন্টারভিউ পাশেই সরকারি চাকরি! রাজ্যে মেডিক্যাল সার্ভিস কমিশনে হবে নিয়োগ, কী যোগ্যতা প্রয়োজন?
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেহিসেবি খরচ রোধে দিন কয়েক আগে স্বাস্থ্য দফতরের ‘স্টেট লেভেল টেকনিক্যাল এক্সপার্ট কমিটি’-র বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার অন্যতম হলো, টেস্টে নজরদারি। স্থির হয়েছে, ইমার্জেন্সিতে থাকা রোগীর সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করা যাবে না। প্রয়োজন হলে রোগী হাসপাতালে ভর্তির পরই এই টেস্টের সুপারিশ করতে পারবেন চিকিৎসকরা।

সুপারিশ করলে ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসারের সই (ফুল সিগনেচার), তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সময় ও তারিখ প্রেসক্রিপশনে স্পষ্ট ভাবে লিখতে হবে। প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারের নিজস্ব স্ট্যাম্প থাকতে হবে। যাতে কোনও ভাবেই তিনি পরে আর বিষয়টি অস্বীকার করতে না পারেন। বিলের সঙ্গে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের টিকিট ছাড়াও রোগীর যাবতীয় টেস্টের ‘রিকুইজিশন স্লিপ’ জমা করতে হবে।

Asha Workers : নজরে প্রসবের পরের ৪২ দিন, ভাতা আশাকর্মীদের
সিটি স্ক্যান বা এমআরআই রিপোর্টও ভালো ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। সে জন্য আলাদা রেজিস্টার খাতা রাখতে হবে। তাতে ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার সই করবেন। মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর র‍্যাঙ্কের নীচে কোনও চিকিৎসক সিটি স্ক্যান বা এমআরআইয়ের সুপারিশ করতে পারবেন না। অন্যান্য হাসপাতালে স্পেশ্যালিস্ট মেডিক্যাল অফিসার বা বেড ইন-চার্জরা স্ক্যানের সুপারিশ করতে পারবেন।

তবে সে ক্ষেত্রেও প্রেসক্রিপশনে নিজেদের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং তিনি কোন পদে আছেন, সে সব লিখতে হবে। যে টেস্টের জন্য অনেক টাকা লাগে, সেগুলিকে ‘হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম’-এর মাধ্যমে আনা হবে। অনেক সময়ে কিছু চিকিৎসক একাধিক বার স্ক্যান, এমআরআই করতে বলেন। প্রয়োজন ছাড়া এই অভ্যাস ছাড়তে বলা হয়েছে।

AIIMS Kalyani: ইন্টারভিউ পাশেই এইমস কল্যাণীতে কাজের সুযোগ, কোন পদে কী যোগ্যতা প্রয়োজন? জানুন সব তথ্য
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য যে পিপিপি কেন্দ্র রয়েছে, সেখানেও আলাদা রেজিস্টার থাকবে। কারা সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আসছেন, কী ধরনের পরীক্ষা হচ্ছে, রিপোর্টে কী মিলছে, তার যাবতীয় রিপোর্ট রাখতে হবে। এই সিদ্ধান্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, ‘সরকার যে সব নিয়ম করছে, তাতে কেউ আর ভয়ে সিটি স্ক্যান বা এমআরআইয়ের সাহস দেখাবে না। রোগীদের ঝুঁকি বাড়তে পারে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *