Wood Puppet : বছরভর ব্যবসায় লক্ষ্মীলাভে আসবাবপত্রেও কাঠের পেঁচা – purbasthali natungram puppet artists business increase with wooden owl


সূর্যকান্ত কুমার, কালনা
শুধুমাত্র সৌখিন ঘরসজ্জায় সারা বছরের ব্যবসা জমছিল না। ফলে পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামের কাঠখোদাই শিল্পীদের ব্র্যান্ড কাঠের পেঁচার বিক্রি থমকে গিয়েছিল। এবার ভাবনায় বদল এনে লক্ষ্মীর বাহনকে নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবের সঙ্গে জুড়ে দিতেই লক্ষ্মীলাভ হয়েছে নতুনগ্রামের কাঠপুতুলের শিল্পীদের। চেয়ার, টেবিল, ঘড়ি, টেবিল ল্যাম্পের মতো সামগ্রীতে তাঁরা মিশিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের ব্র্যান্ড পেঁচাকে। তাতে চিরাচরিত রীতিও বজায় থাকল আবার ব্যবসাও জমে উঠল।

নতুনগ্রামের কাঠপুতুলের সুনাম রয়েছে বিদেশেও। কাঠের পুতুল বানিয়ে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন এই গ্রামের শিল্পীরা। কাঠপুতুলের জিআইয়ের (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) জন্য কয়েক মাস আগে শিল্পীরা আবেদনও করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা শিল্পকেন্দ্রে। গ্রামের প্রায় সব পরিবারই কাঠের পুতুল তৈরির কাজে জড়িত।

Birbhum BJP : বিজেপি জেতায় ‘বদলা’! জলের কল থেকে ভালভ খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
পুরুষরা কাঠ কেটে পুতুল তৈরি করেন। এর পর মহিলারা সেই পুতুলে রঙের প্রলেপ দেন। দুর্গাপুজোয় কলকাতার বিগ বাজেটের পুজোগুলোর থিমেও উঠে আসে কাঠপুতুল। পাশাপাশি দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, গোয়া, জয়পুরের মতো ভিনরাজ্যের মেলাতেও যান এখানকার শিল্পীরা। কিন্তু এতদিন সেই রোজগার ছিল মূলত মেলাভিত্তিক।

তাতে বৈচিত্রও ছিল কম। বাজারও ছিল ছোট। সেখান থেকে শিল্পীরা ঘর-গেরস্থালির বিভিন্ন সামগ্রীর সঙ্গে তাঁদের সৃষ্টিকে মিশিয়ে দিয়ে বাজারটাকে বড় করে তুলেছেন। নতুনগ্রামের শিল্পী গৌরাঙ্গ ভাস্কর বলেন, ‘কাঠের পেঁচা তৈরির জন্যই বিখ্যাত এই গ্রাম। এত দিন সেই পেঁচার সঙ্গে রাম-সীতা, রাজা-রানির মতো কাঠের পুতুল বানানো হতো। সম্প্রতি ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ভাবনায় বদল এনেছি আমরা। চেয়ার-টেবিলের মতো আসবাবপত্র, টেবিল ল্যাম্প, ঘড়ির মতো জিনিসে আমরা তৈরি করছি। তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। ভালো বাজারও পাচ্ছি।’

Durga Puja 2023 : দৃষ্টিহীনের চোখে দুর্গা দর্শন! ইচ্ছলাবাদ ইয়ুথ ক্লাবের মন কাড়া ভাবনা
ওই শিল্পী জানাচ্ছেন, আসবাবের হাতলে বা পায়ায় থাকছে পেঁচা, যা দেখে বোঝা যাবে, এটা আসলে নতুনগ্রামের শিল্পীদেরই তৈরি। শিল্পী টোটোন সূত্রধর বলেন, ‘আগে মেলা ছাড়া সে ভাবে আমাদের শিল্পকর্ম বিক্রি হতো না। এখন টেবিল, চেয়ার এই সব বানানোয় মানুষের আগ্রহও বাড়ছে। সারা বছর কাজও মিলছে। বাইরে থেকে অর্ডারও আসছে। আমরা চাহিদা মতো তৈরি করে পাঠিয়ে দিই।’

শিল্পী মাধব ভাস্কর জানাচ্ছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করেও বাজার পাচ্ছেন কাঠখোদাই গ্রামের শিল্পীরা। তিনি বলেন, ‘কলকাতার একটি সংস্থা আমাদের কাছ থেকে সামগ্রী কিনে অনলাইনে বিক্রি করছে। আমরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সামগ্রীর ছবি ও দাম দিয়ে দিই। সেই পোস্ট দেখেও ফোনে যোগাযোগ করে অনেকে কিনছেন।’

West Bengal Tourism : ডলফিন সংরক্ষণে ট্যুরিজম, আকর্ষণ কাটোয়ায়
নতুনগ্রামের শিল্পীদের কথায়, পুতুল তৈরি ও ব্যবসার ক্ষেত্রে তাঁরা এখন প্রথম স্টেজ থেকে স্টেজ টু-তে পা রেখেছেন। জিআই ট্যাগ পেয়ে গেলে তাঁরা স্টেজ থ্রি-তে পা রাখবেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *