স্থানীয় সূত্রে খবর, বাথরুম যাওয়ার সময় গভীর রাতে ওই গৃহবধূকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। অ্যাসিড দগ্ধ অবস্থায় রাতেই তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অ্যাসিডে বধূর মুখ,গলা ও হাত দগ্ধ হয়েছে। আক্রমণের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, বছর দেড়েক আগে দুর্ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি শ্বশুড়বাড়িতে শ্বশুড়,শাশুড়ি ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন। শনিবার গভীর রাতে নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি বাথরুম ব্যবহার করে ঘরে ঢুকে গ্রিলের দরজা বন্ধ করছিলেন। সেই সময়ই হঠাৎ করে তাকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়া হয়।
অ্যাসিডে তার মুখ, হাত ও গলা গুরুতর ভাবে দগ্ধ হয়ে যায়। তাঁর চিৎকারে পরিবার ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। এরপর তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর সকালের দিকে তাঁকে আপাতত হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই পরিবারের তরফে রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কী কারণে গৃহবধূকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়া হল? কে বা কারা জড়িত এই ঘটনার সঙ্গে? তার সামগ্রিক তদন্ত শুরু করেছে রায়না থানার পুলিশ। তবে অ্যাসিড হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই মেদিনীপুর শহরে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। মেদিনীপুরের রবীন্দ্রনগর এলাকায় এক মহিলার উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রান্ত মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আক্রান্ত মহিলার সঙ্গে পরে হাসপাতালে দেখা করতে যান পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা। আক্রান্ত মহিলার উপর আগেও অ্যাসিড হামলার অভিযোগ ছিল। ঘটনায় প্রতিবেশী কেউ যুক্ত রাখতে পারে বলে অনুমান করা হয়।