CID Probe Minakhan : সৌদিতে বসে মনোনয়ন জমা! মোহরউদ্দিনের ‘কুকীর্তি’-র তদন্তে মিনাখাঁয় CID, BDO-কে জিজ্ঞাসাবাদ – cid west bengal started probe of alleged nomination submission from saudi arabia


কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নথি সংগ্রহ করতে আসলেন সিআইডি ৪ সদস্যের একটি দল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সৌদি থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনা ঘিকে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। মিনাখাঁর ব্লকের অন্তর্গত কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের গ্রাম সংসদের প্রার্থী মোহরউদ্দিন গাজির বিরুদ্ধে মক্কাতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

মনোনয়ন জমার সময় তিনি ধর্মীয় কারণে আরবে ছিলেন। আরবে থাকাকালীন কিভাবে মিনাখা বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে পারে ওই তৃণমূল প্রার্থী, কলকাতা হাইকোর্টে সেই নিয়ে দায়ের হয় একটি জনস্বার্থ মামলা। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফের তরফে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে’র নজরদারিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

Justice Amrita Sinha: মক্কায় বসে মিনাখাঁয় মনোনয়ন জমা, সরকারি অফিসারদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ বিচারপতি সিনহা
কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মতো ঘটনার তদন্ত করতে সোমবার সিআইডির চার সদস্যের একটি দল মিনাখাঁ বিডিও অফিসে আসেন। তারা মিনাখাঁ ব্লকের বিডিও শেখ কামরুল ইসলামকে প্রায় ঘন্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে তাঁরা নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

সৌদিতে বসে মোহরউদ্দিনের মনোনয়ন জমা দেওযার ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। আদালতের ব্যাপক ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজীব সিনহা নেতৃ্ত্বাধীন রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চাপের মুখে মোহরউদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও তথা রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত।

Justice Amrita Sinha: ভোটারের থেকেও বুথে ভোটের সংখ্যা বেশি! ‘ভুতুড়ে কাণ্ড’ নিয়ে রিপোর্ট তলব বিচারপতি সিনহার
নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়ন পেশের সময় প্রার্থীর সশরীরে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু মোহরউদ্দিন মনোনয়ন জমার সময় ছিলেন না বলে অভিযোগ। এই মামলার শুনানির সময় অভিযোগ পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির প্রশ্ন, ‘প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন না। স্ক্রুটিনির সময় কোনও নির্বাচনী আধিকারিকের চোখে বিষয়টি পড়ল না? আধিকারিকদের কেউ একবারও মনোনয়নপত্র থাকা সই খতিয়ে দেখলেন না কেন!’

Calcutta High Court : কমিশন প্রোঅ্যাক্টিভ হলেই এত মামলা হত না: কোর্ট
যদিও তৃণমূল নেতার দাবি করেন তিনি নিয়ম মেনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আইন মেনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। আমি জানতাম প্রার্থীর সই থাকলে প্রস্তাবক ফর্ম জমা করতে পারেন। সেই কারণে ফর্মে সই করে আমি হজের জন্য মক্কা যাই।’ এখন সিআইডি তদন্তে মামলার কোনও নতুন দিক উঠে আসে কি না, সেটাই দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *