একটা সময় ছিল একান্নবর্তী সংসার। কাকা-জ্যাঠাদের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস। রান্না ঘরে একই ভাতের হাঁড়ি। তবে কালের চাকায়, পরিবার এখন ভেঙে টুকরো টুকরো। সবাই নিজের নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছেন। ফলে ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে মজবুত সম্পর্ক। তাই সেই সম্পর্কগুলোকেই আরও একবার ঝালিয়ে নিতে চাইছে মেমারী সারদাপল্লী অরবিন্দপল্লী রিক্রিয়েশন ক্লাব।
কেন এই ভাবনা?
এই প্রসঙ্গে ক্লাবের এক সদস্য সুভাষ সাধুখাঁ জানাচ্ছেন, মায়ের সঙ্গে ছেলের বাঁধন হোক বা সকলের একসঙ্গে থাকার যে আন্তরিকতা, সেই বিষয়য়টিই তুলে ধরা হচ্ছে তাঁদের এবারের পুজোর থিমে। গোটা মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রঙের সুতো দিয়ে। বলতে গেলে সুতো দিয়ে সম্পর্ককে বাঁধার চেষ্টা করছেন তাঁরা। মণ্ডপে থাকবে কিছু মডেল, সেগুলিও তৈরি হবে সুতো দিয়েই। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি হবে প্রতিমাও। গোটা আয়োজনের জন্য ক্লাবের এবারের বাজেট প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এখানেই শেষ নয় পুজোর সময় বস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে মেমারীর এই ক্লাবের। এছাড়া সারাবছরই রক্তদান শিবির, কম্বল বিতরণের মতো সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত থাকেন ক্লাবের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশকিছু বছর ধরেই শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলার পুজোগুলিতেও দেখা যাচ্ছে থিমের ঘটা। নজরকাড়া ও চোখ ধাঁধানো থিম মন জয় করছে দর্শনার্থীদের। কোথাও থাকছে সমাজের বিশেষ কোনও সমস্যাকে কেন্দ্র করে থিম, তো কোথাও আবার গড়ে উঠছে বিশেষ কোনও ভবনের প্রতিরূপ। এখন দেখার মেমারীর এই ক্লাব কতটা মন জয় করতে পারে দর্শনার্থীদের।