রবিবার গভীর রাতে পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ(এসওজি) ও এনজেপি থানার পুলিশ, এনজেপি স্টেশন এলাকা থেকে মহিলা পাচার চক্রে যুক্ত সন্দেহে আটজনকে গ্রেফতার করে ৷ জানা গিয়েছে, ধৃত মহিলারা বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা ৷ তারা বাংলাদেশী এজেন্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে ৷ এরপর উত্তর দিনাজপুর হয়ে রবিবার রাতে তারা শিলিগুড়িতে পৌঁছায় ৷ সেখানে তাদের সঙ্গে তিন ভারতীয় এজেন্টের দেখা হওয়ার কথা ছিল। এই তিন এজেন্ট শিলিগুড়িরই বাসিন্দা। তাদের অন্যত্র পাচার করে দিত ৷ তার আগেই খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলারা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই বিবাহিত৷ বাংলাদেশে এক ব্যক্তি তাঁদেরকে জানিয়েছিল যে ভারতে গেলে তাঁদের জন্য কাজ রয়েছে৷ এরপরই তাঁদের বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করে দেওয়া হয়৷ অবৈধভাবে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে৷ এরপর ভারতীয় এজেন্টের মাধ্যমে তাঁরা শিলিগুড়িতে পৌঁছায়৷ এদিকে ধৃত ভারতীয় তিন এজেন্টের নাম ঝন্টু রায়, ফোনি রায় ও সঞ্জয় রায়৷ তারা প্রত্যেকেই শিলিগুড়ির বাসিন্দা৷ ধৃতদের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে এনজেপি থানার পুলিশ৷ ধৃত আটজনকে সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে৷
এর আগেও শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু বাংলাদেশী নাগরিক গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ৷ অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে তাঁরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দুই দেশের বেশকিছু এজেন্ট এই চক্রগুলিতে জড়িত রয়েছে৷ যারা মূলত খোলা সীমান্তগুলি দিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করাচ্ছে৷ এর বিনিময়ে তারা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকে ৷ এর আগে পুলিশ বহু এজেন্টকে গ্রেফতারও করেছে ৷ ধৃত এই এজেন্ট আরও কাউকে এভাবে বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়িতে এনেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ সম্প্রতি আরও এক এজেন্টকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রেমের ফাঁদ পেতে বাংলাদেশের এক তরুণীকে ভারতে এনে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে।