এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বলদেপোতা আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায়। এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের প্রকল্পের অন্যতম কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও গরীব দুঃস্থদের ছেলে মেয়েদের জন্য দেওয়া হয় স্কলারশিপ আর এই সমস্ত প্রকল্পের থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে বলদেপোতা আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার গ্রুপ ডি কর্মী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে । স্কুলে চৌকাঠে পা দেননি এমন, কারও বয়স ৩০-৩৫ এর উপরে অথচ তারা পাচ্ছে কন্যাশ্রী-রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা। এদিকে আবার কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী পেতে গেলে দিতে হচ্ছে কাট মানি, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বলদেপোতা আমিনিয়া মাদ্রাসার গ্রুপ ডি স্টাফ মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্কলারশিপ-এর প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না অনেক ছাত্রীরা। এদিকে টাকার বিনিময়ে স্কুলে চৌকাঠেই পা দেয়নি এমন মেয়েরা প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাচ্ছে।
বারবার অনিয়ম সামনে আসা সত্ত্বেও একাধিক সরকারি দফতরে অভিযোগ করেও কোনও কাজ হচ্ছিল না। গ্রুপ ডি স্টাফ মেহেদি হাসান তার নিজের ইচ্ছামতোই কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য নাম পাঠাতেন। আর প্রতিবাদ করলেই চলত হুমকি। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির থেকে প্রধান শিক্ষকের দাবি, প্রায় ৩৫ জন ছাত্রীর মধ্যে ৩২ জনের নাম অবৈধভাবে ঢোকানো হয়েছিল। সেই সময় কন্যাশ্রীর পোর্টাল চালু হয়নি, তাই হাতে লিখেই পাঠাতে হতো। তখনই এই দুর্নীতি ধরা পড়ে। বিডিওর কাছে এই নিয়ে মুচলেকা দেয় অভিযুক্ত যে সে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটাবেন না। কিন্তু, তার পরবর্তীকালে আবার কন্যাশ্রী, রূপশ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করলে তাকে মারধর করে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই গ্রুপ ডি কর্মী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি গ্রুপ ডির কর্মীর মাথায় হাত রয়েছে কোন প্রভাবশালীর? । কিন্তু, গ্রুপ ডি’র কর্মীর দাবি, ‘তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকই আসলে দুর্নীতিগ্রস্ত তাই ওঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’