Rajanya Haldar TMC : যাদবপুরে পড়াশোনা-রাজনীতি থেকে একুশের মঞ্চে রাজন্যা! শহিদ সভায় নজরকাড়া তরুণ তুর্কি কে জানেন? – tmcp leader rajanya haldar shares how she got chance to give speech on trinamool shahid diwas


২১ শে জুলাই ধারে ভারে তৃণমূল কংগ্রেসের সব থেকে বড় রাজনৈতিক ‘ইভেন্ট’। শহিদ দিবসের মূল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য পেতে শাসকদলের নেতানেত্রীদের মধ্যে কার্যত ‘র‌্যাট রেস’ শুরু হয়। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউজে তৃণমূলের ৩০ তম শহিদ সমাবেশ উত্থান দেখল বছর পঁচিশ-ছাব্বিশের এক তরুণীর। মিনিট ছয়েকের ‘অনতিদীর্ঘ’ ঝাঁঝালো বক্তৃতা মন কেড়েছে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব থেকে শুরু করে সমবেত লাখ লাখ কর্মী সমর্থকের। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পপুলার’ সোনারপুরের রাজন্যা হালদার।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের গবেষক রাজন্যা আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা। ২০১৭ সালের ছাত্র সংসদ প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়, সেখান থেকেই ‘তৃণমূলী’ রাজনীতিতে হাতেখড়ি। কী ভাবে ২১শে জুলাই মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ হল, এই সময় ডিজিটালকে জানালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেত্রী।

Mamata Banerjee : কংগ্রেসে নীরব, সিপিএমে নরম থেকে মমতা এখন ‘ইন্ডিয়া’
রাজন্যা বলেন, ‘প্রত্যেকবারে মতো এবারও সমাবেশের আগের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভাস্থলে এসেছিলেন। আমরাও সেখানে ছিলাম। দিদির সঙ্গে যখন দেখা হয়, উনি হঠাৎ করে আমাকে বলেন ২১ তারিখ তুই বক্তব্য রাখবি। দিদির কথা শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। এত বড় দায়িত্ব কীভাবে পালন করব! ঘাবড়ে গিয়ে দিদিকে জিজ্ঞেস করি, কী বলব? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন অভয়বাণী দিয়ে আমাকে বলেন, ঘাবড়ালে চলবে না, তৃণমূল যে এইভাবে মানুষের পাশে থাকে সেটাই তুলে ধরবি। ব্যাস ওখান থেকে শুরু।’

দলের প্রচারে রাজন্যা।

TMC Shahid Diwas 2023 Live : ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশের মঞ্চে বারবার করে ফিরে এলে বিরোধীদের জোট প্রসঙ্গ, আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতারা।

রাজন্যা মনে করেন, তৃণমূল ‘সর্বভারতীয়’ তকমা হারালেও মানুষের মন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুছে ফেলা যাবে না। সেই কারণে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে তৃণমূল সুপ্রিমো অনেক ‘বড় ফ্যাক্টর’। নিয়োগ দুর্নীতিতে বিদ্ধ শাসকদল, গারদে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্রমশ রাজনীতি নিয়ে ‘অনীহা’ তৈরি হচ্ছে। একজন কৃতী পড়ুয়া হিসেবে দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই অভিযোগ কি রাজন্যার জন্য অস্বস্তির? তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারে মেয়ে। জন্মলগ্ন থেকে আমার পরিবার তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সব মানুষই কোনও না কোনওভাবে রাজনৈতিক। রাজনীতি করা বা ক্ষমতার সঙ্গে থাকা মানেই চাকরি বা সুযোগসুবিধা পাওয়া নয়। যোগ্যতাই চাকরি পাওয়ার একমাত্র মাপকাঠি হওয়া উচিত। আমার বিশ্বাস নতুন প্রজন্ম মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন।’

21 July TMC Shahid Diwas 2023 : তৃণমূলের শহিদ সভায় বৃষ্টি, নেত্রীর বার্তা শুনতে অপেক্ষায় কর্মীরা
রাজন্যা আরও বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতিসহ বিভিন্ন যে অভিযোগ উঠেছে, ,সেইগুলি বিচারাধীন বিষয়। যাবতীয় অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই সেটা নিন্দনীয়। কিন্তু সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব তদন্তকারী সংস্থার। দুর্নীতিগ্রস্তদের পাশে দল থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতেও দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *