এই ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লোকপুর থানার পুলিশ। বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু হয়। এছাড়াও কিভাবে এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটল সেই নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই বাড়ির মালিকের নাম শেখ সারাফত। তাঁর খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবেই পরিচিত।
তাঁর বাড়িতেই বোমা বিস্ফোরণ হয়। এলাকাবাসীদের বয়ান অনুযায়ী, বালির নিচে প্রায় ৭০ টি বোমা রাখা ছিল। সেগুলির মধ্যে কয়েকটি ফেটে যায়। তবে কী কারণে বোমাগুলি নিয়ে আসা হল তা জানা যায়নি। বাড়িতে কেউ না থাকার কারণে কারও প্রাণ যায়নি। তবে এই বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা রাখল কে? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা এই বিষয়ে বলেন, ‘এই নির্মীয়মাণ বাড়িটি ওই এলাকার বাসিন্দা শেখ জামালের ছেলে শেখ সারাফতের। তাঁর বাড়িতেই ছিল প্রচুর পরিমাণে বোমা। যা আজ সকালে ফেটে যাওয়ায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে। এই নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হলে গ্রামবাসীরা চমকে ওঠেন।
এখন আতঙ্কে অনেকে বাড়ি থেকেই বের হচ্ছেন না। পুলিশ প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত নিরাপত্তা দাবি করছি আমরা’। গ্রামে অশান্তির বাতাবরণ ছড়াতে ওই বোমা মজুত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দু’টি গোষ্ঠী আছে বলে জানা গিয়েছে।
তাদের মধ্যেই একটি গোষ্ঠী এই বোমা মজুত করেছিল বলে অভিযোগ। সারাফতের এক আত্মীয় বলেছেন, ‘প্রথমে বুঝতে পারিনি কীসের শব্দ। তারপর বাইরে বেরিয়ে সবাইকে জিজ্ঞাসা করে সবটা জানতে পারি। আমাদের যা মনে হচ্ছে রাতে কেউ এসে এই বোমা রেখে গিয়েছে ওই বাড়িতে’।