এই সময়: একই বিষয়ে একাধিক মামলা দায়ের এবং ‘অতি জরুরি’ দাবি করে দ্রুত শুনানির আর্জিতে চরম বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সোমবার সিপিএমের দায়ের করা একটি মামলায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন, যত বড়ই নেতা কেউ হোন না কেন, আদালতের সাথে রাজনীতি করবেন না। পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত একই বিষয়ে নতুন মামলা দায়েরের আর্জিতেও তাঁর হুঁশিয়ারি, যদি এই মামলা প্রত্যাহার না-করা হয় তা হলে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
কেন একই বিষয়ে একাধিক মামলা–প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। শেষ পর্যন্ত মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়। আবার আগামী ৫ অগস্ট রাজ্যের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের যে ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–তা চ্যালেঞ্জ করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মামলা করেছেন। তাঁর আইনজীবীও দ্রুত শুনানির আবেদন করেন।
কেন একই বিষয়ে একাধিক মামলা–প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। শেষ পর্যন্ত মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়। আবার আগামী ৫ অগস্ট রাজ্যের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের যে ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–তা চ্যালেঞ্জ করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মামলা করেছেন। তাঁর আইনজীবীও দ্রুত শুনানির আবেদন করেন।
প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, মামলা দায়ের করুন। কিন্তু দ্রুত শুনানির কারণ নেই। মামলা তালিকায় এলে শুনানি হবে। এ দিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তও দু’টি মামলা জরুরি ভিত্তিতে দায়ের করার অনুমতি দিলেও এ দিনই শুনানির আবেদন খারিজ করে দেন। তাঁর এজলাসে অভিযোগ করা হয়, ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুরে বিজেপি’র পঞ্চায়েত প্রার্থীকে মারধর করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।
ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। তিন দিনের মাথায় তিনি মারা যান। দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তৃণমূলের লোকজন দাহ করে দেয়। এ দিনই এ নিয়ে শুনানির আর্জি জানানো হয়। এত দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। আবার একটি সংবাদমাধ্যমের হয়ে কাজ করা এক আইনজীবীকে এ দিনই ইডি তলব করায় সেই বিষয়েও এ দিনই শুনানির আবেদন করা হয়। সম্মত হননি বিচারপতি।