এই মামলার থানা আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে সাসপেন্ড করে তাদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করার জন্য বিধাননগরের কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চার সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। কী পদক্ষেপ করা হল, পরবর্তী শুনানির দিন রিপোর্ট আকারে বিধাননগর কমিশনারেটকে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন শুনানির সময় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। আদালতের প্রশ্ন, ‘যিনি নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে বাঁচলেন তাঁকেই অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করার কারণ কী? তার মানে কি ওই যুবক পাচার চক্র ভাঙতে চাইছিলেন? পাচার চক্র যাতে চলতে পারে, পুলিশ কি সেই রাস্তা করে দিচ্ছে? কেন পুলিশ নাবালিকার গোপন জবাববন্দি দেখল না? না কি দেখেও দেখল না! সেখানে স্পষ্ট লেখা ওই যুবক তাকে উদ্ধারে সাহায্য করেছেন।’
২৩ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাবে বলে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় নাবালিকার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরবর্তীকালে তিলজলা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। নাাবালিকাকে পাচারের পর উদ্ধারে সাহায্য করেন তাঁর প্রেমিক অনিল সর্দার। কিন্তু পুলিশ তাঁকেই অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করে। সেই মামলাতেই বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। ধৃত যুবককে জামিন দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকেও এদিন আদালতে তলব করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই পুলিশের উপর বিরক্তি প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দক্ষিণেশ্বর ও খড়দা থানার দুটি পৃথক মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। দক্ষিণশ্বরের বাসিন্দা এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে রক্তদান শিবিরের নামে তোলাবাজি করা হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না করার অভিযোগ ওঠে থানার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তদন্তের নামে খড়দা থানায় এক মহিলাকে বারবার করে ডেকে হেনস্থার অভিযোগ শুনে রুষ্ট হয় আদালত।
