তারপরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ওই মহিলাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ও পরে তাঁর মৃত্যু হয়। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘৬৬ বছরের ওই মহিলাকে ICU তে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল।
কিন্তু ওই মহিলার অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে। গত শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে’। এছাড়াও, লেকটাউনের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩০ বছরের এক মহিলার। তিনি বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে তাঁর জ্বর এবং অন্য উপসর্গ ছিল।
ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ওই মহিলারও গত ২১শে জুলাই মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার এই দুটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ২৭ জেলার ৫৭ ব্লাড ব্যাঙ্কে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও কাছেও স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর রাজ্যে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল ডেঙ্গি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। ডেঙ্গিতে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের আশঙ্কা, এই বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গতবারের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই বছরের মে মাসের গোড়ায় ২০২২ সালে বাংলায় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় কত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তার পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে দেখা যায়, মশাবাহিত ডেঙ্গি রোগে বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এবার শহর থেকেও বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গ্রামবাংলার ডেঙ্গির চিত্র।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, গত জুলাইয়ে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬২৬। এবার জুলাই শেষের আগেই তা ২ হাজার অতিক্রম করে গিয়েছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ হাজার ৬০০ পার করে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। শুধু তাই নয়, গড়ে মোট আক্রান্তের ৬৫ শতাংশই গ্রামবাংলার।