মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ভয়াবহ অবস্থা ডেঙ্গি পরিস্থিতির। বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসা যাত্রীরা ডেঙ্গির ক্যারিয়ার হতে পারে। সেই জন্যই ইমিগ্রেশনে যদি রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় সেখানেই ধরা পড়বে ডেঙ্গি সংক্রমণ। রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করার আর্জি জানানো হয়েছে।’ এছাড়াও শহরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পুরসভা। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার পুরসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে মশার লার্ভা যাতে না জন্মায় তার জন্য লালবাজারের তরফে বিশেষ অ্যাডভাইজরি জারি করা হয়েছে। শহরের সমস্ত থানাকে লালবাজারের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে থানার সামনে যেসব বাজেয়াপ্ত গাড়ি আছে, তাতে যেন কোনওভাবে জল না জমে। এছাড়া থানা চত্বরে কোথাও যেন জল না জমে তা দেখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সমস্ত আবর্জনা সরানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ষষ্ঠ শ্রেণীর এক নাবালিকার মৃত্যুর পর মঙ্গলবারও আরও ২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। এদিন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয় নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা ডেঙ্গি আক্রান্ত উমা সরকারের। অন্যদিকে, লেকটাউনেক এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৩০ বছরের এক মহিলার। তাঁর বাড়ি কলকাতার বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে। এরপরই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জ্বর হলেই রক্তপরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রাজ্যে ডেঙ্গিতে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৭ জন। এবার জুলাই শেষের আগেই আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার অতিক্রম করে গিয়েছে। গতবছর জুলাইয়ে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ৬২৬।