ঠিক কী দাবি ওই কাউন্সিলরের?
তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ফ্ল্যাটটি নিজের দখলে করে রেখেছিলেন। কিন্তু, এই অভিযোগের পালটা তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, তিনি টাকা দিয়ে ওই ফ্ল্যাটটি কেনন। কিন্তু, হঠাৎ মৃত্যু হয় ওই প্রোমোটারের। আর সেই কারণে তিনি দলিল পাননি। প্রোমোটার একই ফ্ল্যাট দুই জনকে বিক্রি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ওই তৃণমূল কাউন্সিলর আরও বলেন, “জমি জবরদখল করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা আমি মেনে নিয়েছি। কারও ফ্ল্যাট আমি জোর করে দখল করে রাখিনি। কোনও অন্যায় করিনি। আদালতের নির্দেশ মান্য করে চলব।”
এদিকে কোন্নগরের বাসিন্দা সুপ্রিয় চৌধুরী দাবি করেছেন, “২০১৪ সাল থেকে আমি ফ্ল্যাটটি পাচ্ছিলাম না। আমার কাছে সমস্ত কাগজপত্র ছিল। এরপরেই আমি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেখানে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সত্যের জয় হয়েছে।” জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটটি খালি করার জন্য সেখানে বিরাট পুলিশ বাহিনী যায়।
জানা গিয়েছে, কোন্নগর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ওই ফ্ল্যাটটি অবস্থিত। ২০০৬ সালে তা নির্মাণ হওয়া শুরু হয়েছিল। সেই সময় সুপ্রিয় চৌধুরী ওই ফ্ল্যাটটি কেনেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি ফ্ল্যাটটির দখল পাননি তৃণমূল কাউন্সিলরের জন্য। বাধ্য হয়ে তিনি এই মামলার প্রেক্ষিতে আইনের দরজায় কড়া নাড়েন এবং শেষমেশ ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের হস্তক্ষেপে তিনি ফিরে পান নিজের ফ্ল্যাট।
প্রসঙ্গত, এই প্রসঙ্গে কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস জানান, আইন আইনের পথে চলবে। কোনও অন্যায়কে প্রশয় দেবে না দল। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। এরপর আলাদা করে আর এখানে দলীয় তরফে মন্তব্য করা ঠিক নয়। আইন এবং আদালতের নির্দেশকে সবার আগে মান্যতা দিতে হবে।