ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে দুজনকে ফাঁসি এবং এক মহিলাকে যাবজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন মেদিনীপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কুসুমিকা দে (মিত্র)। ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভুমের ছোটু মুন্ডা, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা বিকাশ মুর্মু (তখন বয়স ২৭), পিংলার তেমাথানির তপতী পাত্র কে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।
মঙ্গলবার দোষীদের সাজা শোনানো হয় আদালতের তরফে। জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর বাবা চাষ করেন, মা আশা কর্মী। তরুণীর মা ওই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির সময় কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে অনলাইনে পড়াশোনা করত আমার মেয়ে। ডেবরা মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। ঘটনার দিন ওকে দেখতে পাই ফোনটি বাড়িতে পড়ে আছে। সেই সময় আমাদের বাড়ির পিছনে একটি পুরনো মাটির বাড়ি ভেঙে ইট গাঁথা হচ্ছিল। সেই কাজে নিযুক্ত ছিল দুই পুরুষ এবং এক মহিলা। আমি মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে ওই ঘরে ঢুকে পড়ি। দেখতে পাই বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওর দেহ।’
এই রায়ে খুশি মৃতার পরিবার। মৃতার মা আরও বলেন, ‘মেয়েকে তো আর ফেরত পাব না। কিন্তু দোষীরা শাস্তি পেল এতেই খুশি আমরা।’ সরকারি আইনজীবী (স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর) দেবাশীষ মাইতি বলেন, ‘২০২১ সালের পিংলা থানার ঘটনায় ২৭ জন সাক্ষ্য দেন। ওই ঘটনায় দুজনের ফাঁসির নির্দেশ ছাড়াও মহিলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’
ঘটনাটি ঘটেছিল ৩ মে ২০২১ সালে পিংলা থানা এলাকায়। অভিযোগ তরুণীকে গণধর্ষণের পর খুন করে অভিযুক্তরা। মৃত তরুণীর বাবা বলেন, ‘পিংলা থানার পুলিশ এসে আমার মেয়ের দেহ নিয়ে যায় সেই সময়। থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে পুলিশ এক মহিলা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। শাস্তি দিতে একটু দেরি হল, কিন্তু এতে আমরা খুশি।’