Recruitment Scam : নিয়োগে কি অনিয়ম, প্রশ্নের মুখে কাটোয়ার হেড মিস্ট্রেস – cbi interrogated the headmistress of a school in katwa in recruitment scam case


এই সময়, কলকাতা ও কাটোয়া: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিবিআইয়ের তদন্ত কলকাতা এবং আশপাশের কয়েকটি জেলার মধ্যেই কেন আটকে রয়েছে। অন্যান্য জেলায় বেআইনি নিয়োগের বিষয়ে কেন তৎপর হচ্ছেন না গোয়েন্দারা। এ বার দেখা গেল বর্ধমানের কাটোয়ার একটি স্কুলে শিক্ষিকা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। অভিযোগ, ওই স্কুলে অনিয়মের কারণে এক শিক্ষিকা কাজে যোগ দিতে পারেননি।

Recruitment Scam Case : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষাসচিব দুষ্মন্তকে CBI তলব
সে কারণে সোমবার কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকারকে তলব করা হয়। তাঁর বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারায় এদিন সন্ধ্যায় স্কুলের কর্মী বিজন সাহাকেও ডেকে পাঠান গোয়েন্দারা। বিজন আবার কাটোয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরও।

সিবিআই সূত্রে খবর, ২০২১ সালে এক শিক্ষিকার নিয়োগে অনিয়মের কারণে ওই স্কুলটি গোয়েন্দাদের নজরে আসে। অভিযোগ, মৌমিতা চক্রবর্তী নামে একজনের নিয়োগের চিঠি স্কুলে এসেছিল। কিন্তু তিনি ওই স্কুলে যোগ দিতে পারেননি নানা কারণে। কেন এমনটা হয়েছিল, তা জানতেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে তলবের পাশাপাশি নথিপত্র পাঠাতে বলেন গোয়েন্দারা।

Recruitment Scam : ‘যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করুন,’ সিবিআইকে কোর্ট
এর পর ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে নথি পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে। তা খতিয়ে দেখার পরে প্রধান শিক্ষিকাকে ডেকে পাঠানো হয়। এদিন সকালে ঘণ্টাখানেক তাঁর সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রের খবর, তিনি তদন্তকারীদের জানান, স্কুলের সমস্ত অফিসিয়াল কাজকর্ম দেখেন বিজন সাহা নামে এক কর্মী। এ কথা শোনার পরেই ই-মেল মারফত নোটিস পাঠিয়ে বিজনকে সোমবার সন্ধ্যায় তলব করা হয়।

Uttar 24 Pargana : ব্যালট ভক্ষণ! অশোকনগরের স্কুল থেকে গণনাকেন্দ্র সরানোর দাবি ছাত্রদের
এ বিষয়ে বিজন সাহা বলেন,’মৌমিতা চক্রবর্তী নামে একজনের নিয়োগপত্র মেল মারফত এসেছিল। কিন্তু উনি বা ওর অভিভাবক কেউ স্কুলে যোগাযোগ করেনি। ফলে কেউ যোগও দেয়নি স্কুলে। আমাকে হয়রানি করা ছাড়া এসব আর কিছু নয়।’ এ বিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকারকে ফোন করা হলে তিনি কোনও জবাব দেননি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *