মঙ্গলবার বাসস্ট্যান্ডটির কাজ দেখতে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। সেখানে গিয়ে দেখেন যে বাসস্ট্যান্ডের সামনে স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তিনি পুরনিগমের কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন। ফোন করেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি জয় টুডুকে। শীঘ্রই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেয়র। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবান্নতেও জানাবেন বলে জানিয়েছেন গৌতম।
মেয়রের দাবি, যেখানে বাসস্ট্যান্ডের কাজ হচ্ছে, তার সামনে থাকা জমিটি শিলিগুড়ি পুরসভার। এর আগে সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানেই জমি যে রেলের নয় তা জানা গিয়েছে বলে জানান তিনি। যে জায়গা দখল করা হয়েছে তাঁর জেরে বাসস্ট্যান্ডে ঢোকা ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে অভিযোগ মেয়রের। জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং দুই জেলার জেলাশাসকদের নিয়েও সেখানে পরিদর্শন করা হবে বলে জানান মেয়র। এরপর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গৌতম দেব বলেন, ‘আমাদের জায়গা, আমাদের টাকা। মানুষের স্বার্থে বাসস্ট্যান্ডটি করা হচ্ছে। রেল কোনও এজেন্সিকে দিয়ে জমি দখল করছে। এটা মানা যায়না। এভাবে রেল কাজে বাধা দেবে? এমন ধরনের ঘটনা কোথাও দেখিনি। খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। প্রয়োজনে রেলের বিরুদ্ধে মানুষকে নিয়ে আমি রাস্তায় নামব।’ ?যদিও এখনও অবধি এই নিয়ে রেলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলেই প্রতিবেদনে তা আপডেট করা হবে।
প্রসঙ্গত, মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা মেনে বাসস্ট্যান্ডটির কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোর আগে প্রথম ধাপের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছে পুরসভা। এই বাসস্ট্যান্ডটি হয়ে গেলে শিলিগুড়ির লোকাল বাসস্ট্যান্ডকে এখানে সরিয়ে আনা হবে। এরফলে শহরের যানজট অনেকটাই কমে যাবে। পরে এনবিএসটিসি এর কিছু রুটের বাস এখান থেকে চলাচল করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ির শহরের বাসিন্দাদের যানজটে জেরবার হতে হয়। বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরিত হলে সেই সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।