খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিমলাপাল থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি। টাকা লুঠ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ সকাল থেকেই এই খবর শুনে ATM কাউন্টারটির সামনে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ।
তখনই সন্দেহ হয় অনেকের। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর ATM-এর গেট খুলে দেখা যায় ATM মেশিন ভাঙা। ভিতরে ভাঙা হয়েছে CCTV ক্যামেরাও। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় ব্যবসায়ী সোমনাথ গড়াই বলেন, ‘সকালে আমি দোকান খুলতে এসে দেখি এই অবস্থা।
তখনই সন্দেহ হয় ও আশেপাশের লোকজনকে খবর দিই। তারপর ভিতরে ঢুকে ভাঙাচোরা অবস্থা দেখে পুলিশকে জানাই’। স্থানীয় ঝাড়ুদার স্বপন দে বলেন, ‘আমি ভোরবেলা রোজই এখানে সাফাইয়ের কাজ করি। কিন্তু কোনোদিন এরকম কাণ্ড দেখিনি। মনে হচ্ছে রাতের অন্ধকারে ফাঁকা জায়গার সুযোগ নিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুরুলিয়া জেলাতেও একই দৃশ্য দেখা যায়। পুলিশ এসে ATM এর শার্টার তুলতেই দেখা যায় ATM ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ATM মেশিন থেকে সম্পূর্ণ নগদ অর্থ লুঠ করে নেওয়া হয়।
মুনসেফডাঙা এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ATM লুঠের ঘটনা ঘটে। একাধিক দুষ্কৃতী এসে লুঠের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ভারী কোনও বস্তু দিয়ে শাটারের তালা ভাঙা হয়। এরপর ATM মেশিন ভেঙে নগদ অর্থ লুঠ করে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা, এমনটাই জানায় পুলিশ।