পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে চাওয়া হয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড। এর প্রতিবাদ করলে মারধর করে পুলিশ বলে অভিযোগ। আক্রান্ত আনোয়ারা বিবি নামের ওই মহিলা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে ISF কর্মী। তাই আমার বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। রাতে এবং দুপুরে পুলিশ আসছে। জিজ্ঞেস করছে, আমার ছেলে কোথায়। আধার কার্ড চাইছে সবার। আমাদের মারধর করেছে। বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলেছে। শুধু আমার ছেলে ISF কর্মী বলে এভাবে অত্যাচার করছে। রান্নাঘরে ঢুকে আমাদের মারধর করেছে পুলিশ’। আনোয়ারার পুত্রবধূ আঞ্জুরা বিবি বলেন, ‘আমার শাশুড়িকে মারধর করছে বলে আমি এগিয়ে যাই।
তখন আমায় ঘিরে ধরে পুলিশ। আমাদের সবার আধার কার্ড চায়। দিইনি বলে মারধর করেছে’। আনোয়ারার দাবি, তাঁর ছেলে ISF কর্মী। পুলিশ তাঁর খোঁজে বাড়িতে আসে। তাঁদের পরিচয়পত্র চাওয়া হয়। তা দিতে অস্বীকার করায় মারধর করা হয়েছে। আনোয়ারার পুত্রবধূ বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা সবাইকে দেখান। যদিও পুলিশের দাবি ১৪৪ অমান্য করায় প্রথমিক তদন্তের জন্য ওই এলাকায় যাওয়া হয়েছিল। এলাকার মহিলারা পুলিশের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেননি। কিন্তু মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, ভোট ঘোষণার আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর তা আরও ঝাঁঝালো আকার ধারণ করে। লাগাতার সংঘর্ষ হতে থাকে শাসক তৃণমূল ও ISF-এর মধ্যে। ভোটের আগে ও ভোট পরবর্তী হিংসায় বেশ কিছু মৃত্যুও দেখে নিয়েছে ভাঙড়। সাধারণ বাসিন্দারা রীতিমতো আতঙ্কের সঙ্গে বসবাস করছেন। অনেকদিন ধরেই জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। আর এরই মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ ঘিরে নতুনভাবে বিতর্ক ছড়াল ভাঙড়ে।