তদন্তকারী অফিসারের প্রতি ক্ষুব্ধ আদালতের মন্তব্য, ‘আপনি কি এতই ক্ষমতাবান যে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন! আপনি কি ভগবান হয়ে গিয়েছেন যে মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন! এত ঔদ্ধত্য? এ ভাবে তদন্ত হতে পারে না।’ তদন্তের নথি ওই অফিসারের হাতে দিয়ে বিচারপতির নির্দেশ, ‘নিজে অভিযোগ পড়ুন, আর আইপিসি দেখে বলুন, কী কী ধারা দেওয়া উচিত ছিল।’
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ঘরে আটকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ইচ্ছাকৃত ভাবে কিছু ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। জামিনযোগ্য ধারা দিয়ে মামলা হালকা করা হয়েছে। হয় অফিসার অদক্ষ বা সেয়ানা।’ মেডিক্যাল রিপোর্ট কেস ডায়েরির থেকে আলাদা করা ছিল। যা দেখে বিচারপতির মন্তব্য, ‘এই রিপোর্ট মিথ্যে। পুলিশ তৈরি করিয়েছে।’ এর পর আইসিকে বিচারপতির জিজ্ঞাসা, ‘আপনি তদন্ত করতে পারবেন? সময় বেঁধে দেব। তার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।’ আদালতের বক্তব্য, অভিযোগ যা রয়েছে আর এফআইআরে যা ধারা–দু’য়ে মিল নেই। এর পর রানাঘাটের এসপি’র নজরদারিতে শান্তিপুর থানার আইসিকে তদন্ত করে ১৬ অগস্ট রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।