Calcutta High Court : ‘কী মনে করেন, ভগবান?’ পুলিশকে তোপ কোর্টের – calcutta high court justice joy sengupta expressed his strong displeasure against police


এই সময়: টাকা আদায়ে ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা রুজু করে তাদের আড়াল করছে–এই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আক্রান্ত। অভিযোগ, হাইকোর্টে মামলা করায় তাঁকে ফের পুলিশের হুমকির মুখে পড়তে হয়। পাঁচটা মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার সব শুনে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এজলাসে হাজির তদন্তকারী অফিসার, সংশ্লিষ্ট থানার আইসি পড়লেন প্রবল ভর্ৎসনার মুখে।

Calcutta High Court : ‘আগাম জামিন চাইছেন না কেন?’, নন্দীগ্রামের জয়ী BJP প্রার্থীদের ‘ভয়’ নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
তদন্তকারী অফিসারের প্রতি ক্ষুব্ধ আদালতের মন্তব্য, ‘আপনি কি এতই ক্ষমতাবান যে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন! আপনি কি ভগবান হয়ে গিয়েছেন যে মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন! এত ঔদ্ধত্য? এ ভাবে তদন্ত হতে পারে না।’ তদন্তের নথি ওই অফিসারের হাতে দিয়ে বিচারপতির নির্দেশ, ‘নিজে অভিযোগ পড়ুন, আর আইপিসি দেখে বলুন, কী কী ধারা দেওয়া উচিত ছিল।’

Calcutta High Court : ‘ছেলে খেলা! চোখ বন্ধ রেখেছিলেন নাকি?’ পঞ্চায়েত মামলায় BDO কে ভর্ৎসনা বিচারপতি সিনহার
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ঘরে আটকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ইচ্ছাকৃত ভাবে কিছু ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। জামিনযোগ্য ধারা দিয়ে মামলা হালকা করা হয়েছে। হয় অফিসার অদক্ষ বা সেয়ানা।’ মেডিক্যাল রিপোর্ট কেস ডায়েরির থেকে আলাদা করা ছিল। যা দেখে বিচারপতির মন্তব্য, ‘এই রিপোর্ট মিথ্যে। পুলিশ তৈরি করিয়েছে।’ এর পর আইসিকে বিচারপতির জিজ্ঞাসা, ‘আপনি তদন্ত করতে পারবেন? সময় বেঁধে দেব। তার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।’ আদালতের বক্তব্য, অভিযোগ যা রয়েছে আর এফআইআরে যা ধারা–দু’য়ে মিল নেই। এর পর রানাঘাটের এসপি’র নজরদারিতে শান্তিপুর থানার আইসিকে তদন্ত করে ১৬ অগস্ট রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *