এদিকে শুধু সেনা বাহিনীতে নয়, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতেও জাল নথি দিয়ে নিয়োগের হদিশ আগেই দিয়েছিল সিআইডি। তবে পাকিস্তানি নাগরিকদের জাল নথি নিয়ে এদেশের সেনাবাহিনীতে থাকার কোনো হদিস তারা পায়নি বলে আদালতে জানাল রাজ্য। এই নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
অন্যদিকে মামলার আবেদনকারী বিষ্ণু চৌধুরী এদিন আদালতেক প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছেন তিনি। শুনানির পর আদালত মামলাকারীকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হুগলি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে। আবেদন পাওয়ার দু’দিনের মধ্যের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করবেন হুগলির পুলিশ সুপার।
ভারতীয় সেনার ব্যারাকপুর ছাউনিতে দুই পাক নাগরিক কর্মরত বলে আদালতে মামলা করেন বিষ্ণু চৌধুরী নামে হুগলির ওই বাসিন্দা। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই মারফত ভারতীয় সেনাবাহিনীতে লোক ঢোকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়ে ওই মামলায়। শুনানির পর অভিযোগের প্রাথমিক অনুসদ্ধান্তের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। একইসঙ্গে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড-এর জিওসি ও মিলিটারি পুলিশকে এই মামলার শরিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সিআইডির কাছেও এই মামলার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসন্ধান করে সিআইডি।
মামলাকারী অভিযোগ করেন, ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিতে জয়কান্ত কুমার এবং প্রদ্যুম্ন কুমার নামের দুই পাক নাগরিক কাজ করছেন। সেনা বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, ভিন রাজ্যের পুলিশ ও বিভিন্ন প্রভাবশালীদের মারফত তাদের নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ওই দু’জন জাল নথি দিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়ছেন বলে অভিযোগ করা হয়। আগামী দিনে এই মামলায় সিবিআইয়ের হাতে নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কি না, সেটাই দেখার।