মণিপুর ঘটনায় যখন উত্তাল গোটা দেশ, ঠিক তখনই প্রকাশ্যে আসে মালদার পাকুয়াহাটে ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর ও জুতোপেটা করার ঘটনা। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এইসময় ডিজিটাল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মালদার পাকুয়াহাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন ওই দুই মহিলা। অভিযোগ, সেই সময় চোর সন্দেহে তাঁদের মারধর ও জুতোপেটা করা হয়। ভিডিয়োতে অনেকে মিলে ওই দুই মহিলাকে মারধর করতে দেখা যায়। সেই মারধরের সময়ই ওই দুই মহিলার শরীর থেকে পোশাক খুলে যায়। কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি শারীরিক হেনস্থা।
এদিকে এই ঘটনায় প্রথমে ওই দুই নির্যাতিতা মহিলাকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অবশ্য জামিন পান তাঁরা। আবার ওই দুই মহিলাকে মারধরে অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মনোরঞ্জন মন্ডল, বিজয় মন্ডল, মিনতি টুডু, বাসন্তী মার্ডি এবং রেবতী বর্মন। আদালতে পেশ করা হলে তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।
তবে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ময়দানে নামে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য টুইটে অভিযোগ করেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও এই ঘটনায় কিছুই করেননি।’ ‘রাজ্যে মহিলাদের হাল খুব খারাপ’ বলে অভিযোগে সরব হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। পালটা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’ গোটা ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি।